প্রথম দিকে মার্কেট প্লেসের বাইরে ডিরেক্টলি অন্য দেশের ক্লায়েন্টদের সাথে ইংরেজি আর্টিকেল লেখালিখির কাজ করতাম।
তারপর ব্যাক্তিগত বেশ কিছু ঝামেলার কারনেই লেখালিখি থেকে কয়েক মাস গ্যাপ নিলাম।
খুব বেশিদিন হয়নি আপওয়ার্কে কাজ করা শুরু করেছি।
খুব বেশিদিন হয়নি আপওয়ার্কে কাজ করা শুরু করেছি।
এরই মধ্যে USA, Singapore আর Thailand এর কিছু ক্লায়েন্টর সাথে ইন্টারভিউ হলো। প্রজেক্টও পেয়ে গেলাম।
যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই করছি। মাত্র ১৫ টা প্রজেক্টে কাজ করেছি আর রিজেক্ট করেছি ১০০ টার মতো অফার। এভাবে অল্প অল্প করতে করতেই আজকে হঠাত Top Rated ব্যাজ পেয়ে গেলাম Upwork এ।
সবুরে মেওয়া ফলবেই।
আর এখন আসি মূল কথায়।
নতুনরা যখন ফেসবুকে লাখ লাখ ব্যর্থদের কথা শুনে ফ্রিল্যান্সিং গাঁজাখুরি – এসব কথা বলায় ব্যাস্ত, ঠিক তখনই আরেকজন ব্যাস্ত তার স্কিল ঝালাইয়ে।
যখন বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার একটা প্রজেক্টে এপ্লাই করেও প্রজেক্টাটা পাচ্ছে না, সেখানে আরেকজন সেই একই প্রজেক্ট রিজেক্ট করে দিচ্ছে কারন তার হাতে সময় নেই বলে।
সত্যি কথা বলতে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ফ্রিল্যান্সিং এর চেয়ে আরামদায়ক এবং সহজ ইনকামের উপায় আর আছে বলে আমার মনে হয় না।
কিন্তু সেই আরাম যদি শুরুর আগেই খুজতে চান তবে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য নয়।
কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও আমার কাছে কেউ ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে সাজেশন চাইলে আমি তাদেরকে Worst Case Scenerio -ই বলি। কারন আমি যদি এটাকে সহজ করে উপস্থাপন করি তবে সে ব্যাক্তি অবশ্যই এটাতে খাম খেয়ালিপনা দেখাবে এবং ফলাফলে তার নাম উঠে আসবে ব্যর্থদের তালিকায়। শেষমেশ সে আমাকেই গালি দিবে কেন আমি তাকে এই পথে আসতে বলেছিলাম। আমাকে দোষারোপ করবে তার ব্যয় করা শত সহস্র ঘন্টার জন্য কিন্তু কখনওই ভেবে দেখবে না যে সে শুধু সময় দিয়েছে প্রজেক্ট পাবার জন্য, কাজের দক্ষতা অর্জনের জন্য নয়।
সবাই আমাকে প্রশ্ন করে কেন আমি লোকজনকে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে ভয় দেখাই?
আমার কথা হলো, কেন নিজের খেয়ে কেন অন্যের গালি শুনতে যাবো?
আমার কথা হলো, কেন নিজের খেয়ে কেন অন্যের গালি শুনতে যাবো?
কিন্তু এসব কিছু আজকে হঠাত বলা কারন কি?
এতদিন নিজের ক্রেডিবিলিটির নিয়ে সন্দেহ ছিল, কিন্তু Top Rated ব্যাজ পাওয়ার পর আমি বাংলাদেশের হাতে গোনা কয়েকজনের রাইটার এর মধ্যে চলে এসেছি এবং এখন আমি নিঃসন্দেহে বৃদ্ধ-বিজ্ঞ ব্যক্তির মতো উপদেশ বিতরন করতে পারবো।
এতদিন নিজের ক্রেডিবিলিটির নিয়ে সন্দেহ ছিল, কিন্তু Top Rated ব্যাজ পাওয়ার পর আমি বাংলাদেশের হাতে গোনা কয়েকজনের রাইটার এর মধ্যে চলে এসেছি এবং এখন আমি নিঃসন্দেহে বৃদ্ধ-বিজ্ঞ ব্যক্তির মতো উপদেশ বিতরন করতে পারবো।
নতুনদের জন্য একটাই সাজেশন, স্কিল ডেভেলপ করার পিছনে সময় ব্যয় করো, ক্লায়েন্ট এমনিই তোমাকে খুজে বেড়াবে।