চট্টগ্রামের যে বিল্ডিংটাতে থাকি তার সামনে উঠানের মতো একটা জায়গা আছে। শহরের মধ্যে বিল্ডিংয়ের নিচে এরকম গাছপালা ভর্তি খালি জায়াগা পাওয়া একরকম স্বপ্নের মতোই।
গরমের দিনে ক্যাম্পাস থেকে আসার সময় মেইন গেট দিয়ে ঢুকলেই গাছগুলোর জন্য একটা প্রশান্তির ঠান্ডা অনুভত হতো। শীতের দিনে উঠানের এই খালি জায়গাতেই ব্যাডমিন্টন খেলার সময় এই গাছেই বাল্বগুলো লাগানো হতো।
অনেককেই এই বাসাটার উদাহরণ দিতাম। কিছুদিন আগেও যখন হিটওয়েভে অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম। সামনে যাকে পাইছি তাকেই বলছি এই বাসাটার মতো বিল্ডিংয়ের আসেপাশে গাছ লাগানোর কথা। ঈদের ছুটিতে বন্ধু যখন বাড়িতে যাচ্ছে, তখনও মনে করিয়ে দিলাম এই ফাঁকে কিছু গাছ লাগিয়ে আসতে।
আজ সকালে যখন বাসা থেকে বের হওয়ার সময় রোদ সরাসরি চেহারায় এসে পড়লো, তখনই টের পেলাম যে কিছু একটা মিসিং। উপরে তাকিয়ে দেখলাম কয়েকটা গাছের ডাল কেটে শুধু কান্ডগুলো বৈদ্যুতিক খুটির মতো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। বাইরে থেকে বাসায় ফিরতে ফিরতে সে কাষ্ঠল খুঁটি গুলোও নামানো শুরু হয়ে গেছে দেখলাম।
চট্টগ্রামের সি আর বি-ও নাকি উপরে ফেলা হবে। কেটে ফেলা হবে শিরিষ তলার সেই বটবৃক্ষ। কিছুদিন আগেও এর বিরুদ্ধে অনেক আন্দোলন হয়েছে। লাভ হয়েছে কিনা জানি না।
জলবায়ুর উষ্ণতা কমানোর বদলে শহরে টুকটাক গাছ যা ছিল তাও কেটে ফেলা হচ্ছে কোনো না কোনো অজুহাতে। চোখের সামনে সুন্দর একটা শহরকে এভাবে ঢাকার মতো বসবাসের অযোগ্য হতে দেখে অবাক না হয়ে পারি না।
View this post on Instagram
বসবাসের অযোগ্য নগরীতে রূপ নিচ্ছে চট্টগ্রাম… https://t.co/ASIf15DxyD pic.twitter.com/5YMd6hVK85
— Rifat Ahmed (@Rifat5670) April 25, 2023