গতকাল র্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারিদের কাছে এক হাজার কোটি টাকা ঋণী থাকার কথা স্বীকার করে ইভ্যালির সিইও মোঃ রাসেল। এই দেনা পরিশোধে করতে না পারায় ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণা করার পরিকল্পনাও ছিল প্রতিষ্ঠানটির এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার।
শুক্রবার দুপুরে র্যাবের সংবাদ সম্মলনে এসব কথা জানান র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন। উনি আরো জানান রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের পরিকল্পনা ছিল ইভ্যালির ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করে ইভ্যালিকে কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করার। এতে করে তারা ইভ্যালির দায় হস্তান্তর করে নিজেরা দায়মুক্ত হওয়ার সাথে এই চুক্তি থেকে লভ্যাংশও পাওয়ার পরিকল্পনা করে আসছিল প্রথম থেকেই।
প্রাথমিক এই জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবের কাছে ইচ্ছাকৃতভাবে এ সকল নেতিবাচক কৌশলের সাহায্য নেয়ার কথাও স্বীকার করে রাসেল। এ ছাড়া ইভ্যালির তিন বছর পূর্ণ হলে শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্তির পর শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে দায় এড়ানোর পরিকল্পনা করেন এই দম্পতি।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে এই দেনা পরিশোধের কোনো পথ রাখা হয়েছে কিনা তা জিজ্ঞাসা করলে তার কোনো সন্তুষ্টজনক উত্তর দিতে পারে নি রাসেল।
এই সকল তথ্যের ভিত্তিতে রাসেল-নাসরিন দম্পতির তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।