Rifat Ahmed | রিফাত আহমেদ https://rifatahmed.com Writer | Mathematician | Marketer | Designer | Developer | Content Creator Fri, 30 Aug 2024 11:14:40 +0000 en-US hourly 1 201162801 Rifat Ahmed | রিফাত আহমেদ Writer | Mathematician | Marketer | Designer | Developer | Content Creator false হাসিনা এবং শিক্ষক ‘পদচ্যুতির’ সমান্তরাল https://rifatahmed.com/%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%82-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%95-%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b2/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%82-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%95-%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b2/#respond Fri, 30 Aug 2024 10:46:58 +0000 https://rifatahmed.com/?p=8972 গুটি কয়েক শিক্ষকদের পদত্যাগ করার বিষয়টা দূর থেকে খুব হৃদয়বিদারক মনে হলেও শুধুমাত্র ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই তাদের আসল রূপটা চেনে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় মায়া জড়ানো মিউজিক দেয়া ভিডিও দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। ছোট্ট করে বলতে হলে, ভারত হবেন না।

ভারতের মিডিয়াও কিন্তু শেখ হাসিনা পালানোর পর বাংলাদেশকে নিয়ে আফসোস করতে শুরু করেছিলো। তারা আমাদেরকে এক অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে প্রচার করছিলো। তারা বোঝাতে চাচ্ছিল যে আমরা এমন এক জাতি যারা শেখ হাসিনার আমলে হওয়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন ভুলে অকৃতজ্ঞের মতো আচরণ করছি। কিন্তু শেখ হাসিনা এবং তার ফ্যাসিবাদি আচরণ শুধু আমরা বাংলাদেশিরাই জানি। আমরাই জানি প্রতিটি মেগা প্রজেক্টের বাহানায় কত মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার লুট করেছিলো ক্ষমতাসীনরা। শুধু এক রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প থেকেই শেখ হাসিনা এবং তার পরিবার ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেছে, যা আমরা নিজেরাই জানতে পেরেছি কিছুদিন হলো। তাছাড়া তার আমলে দেশ থেকে পাচার-ই হয়ে গেছে ১৫০ বিলিয়ন ডলার। এসবের উপর আবার গুম, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি আর কয়েক হাজার খুনের অপরাধ তো আছেই।

বাইরের দেশের কাছে হয়তো শুধু তার আমলের মেগা প্রজেক্টের খবর গুলোই পৌঁছেছে। এজন্যই ভারতীয়রা হয়তো হাসিনার প্রতি এত দরদ দেখাচ্ছিলো। তারা হয়তো জানে না হাসিনা এবং তার সরকারের প্রকৃত রূপ। তার এই প্রকৃত চেহারা কেবলমাত্র আমরা বাংলাদেশিরাই জানি। তাই এই বিষয়ে ভারতের মন্তব্যের কোনো দামই নেই। শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও ঘটনাটা এমন-ই।

আপনার আমার কাছে হয়তো সে একজন সমাজের সম্মানিত শিক্ষক। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে হয়তো সে একজন চরিত্রহীন লম্পট যে মেয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। অথবা সে হয়তো শিক্ষকতা পেশার আড়ালে কোচিং ব্যবসা চালায় যেখানে না পড়লে তার সাবজেক্টে পাশ করা যায় না। অথবা সে হয়তো এক দুর্নীতিবাজ প্রিন্সিপাল যে বছরের পর বছর টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন অযোগ্য নিয়োগ দিয়েগেছেন। অথবা সেই শিক্ষক হয়তো পালিয়ে যাওয়া আওয়ামীলীগেরই দালাল যে তার ছাত্রদের হুমকি দিয়ে গণঅভ্যুত্থান নস্যাৎ করতে চেয়েছিলো।

এগুলো আমরা বাইরের থেকে জানবো না। জানার কথাও না। এগুলো জানবে সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা কেননা কেবল তারাই নিজেদের সাথে হয়ে যাওয়া এইসব অন্যায় অবিচার হতে দেখেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, বিনা কারনেই এতগুলো শিক্ষার্থী মিলে তাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করছে না। সেই কারন হয়তো আমরা যারা আমজনতা আছি, জানি না। তবে কারন নিশ্চয়ই আছে।

প্রশ্ন করতেই পারেন তাহলে কেনো তাদেরকে বিচারের আওয়াতায় আনা হলো না? কেন শিক্ষার্থীরা নিজেরা তাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করছে? আপনাদের কাছে তাহলে আমার উল্টো প্রশ্ন। শিক্ষার্থীদের কেন তাহলে হাসিনাকে জোরপূর্বক উৎখাত করতে হলো? কেন আইনের মাধ্যমে বা আদালতের মাধ্যমে তাকে অপসারন করা গেলো না?

কারন, দেশে সঠিক বিচার ব্যবস্থাই নাই। গত দেড় দশকে দেশের বিচার ব্যবস্থা পচে গেছে। যার টাকা আছে, ক্ষমতা আছে, বিচার ব্যবস্থা তার সাফাই গেয়েছে। বিত্তবান বা ক্ষমতাবান কিংবা ক্ষমতাসীনদের দোসর — কারোর-ই বিচার হয়নি। তাই এই মুহূর্তে দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা না থাকাটাই স্বাভাবিক।

তাছাড়া শিক্ষকতার পদ থেকে যে অপসারণ করা হচ্ছে, সেটা কিন্তু গণহারেও হচ্ছে না। এমনকি সব প্রতিষ্ঠানেও হচ্ছে না। গুটিকয়েক যেসব প্রতিষ্ঠানে হচ্ছে, সেখানেও এক-দুজন যারা হয় ইভটিজার ছিল, চরিত্রহীন ছিল, কোচিং ব্যবসা করতো, স্কুলের ফান্ড মেরে খেতো অথবা ফ্যাসিবাদের চাটুকার ছিল। এতগুলো শিক্ষার্থীরা মিলে যখন একজনের পদত্যাগ চাইছেন, তখন সেখানে কোনো না কোনো কারন তো অবশ্যই আছে। এই কারনগুলো বা ঘটনাগুলো হয়তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গন্ডির বাইরে আসে নাই, বা আসার সুযোগও ছিল না।

তাই দেশ থেকে ছাত্ররা যেভাবে দুর্নীতিবাজ, ফ্যাসিবাদ সরকারকে অপসরন করেছে, শিক্ষার্থীদের তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও সেই আগাছাগুলোকে সাফ করতে দিন। তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থা তারা নিজেরাই জানে। তারা নিজেরা যেহেতু দেশ শুধরেছে, তাদেরকে নিজেদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ও শুধরে নিতে দিন।

তবে এসব পদত্যাগের মধ্যে দু-একজন ভালো শিক্ষক কোনো কারনে জড়িয়ে যেতে পারে; এতে সন্দেহ নেই। তবে ১০০ জনের মধ্যে এরকম ১-২ জনের কারনে বাকি ৯৮ জন অসাধু শিক্ষকের অপসারনকে কলুষিত হতে দেবেন না।

কোনো শিক্ষক যদি বিনা কারনে অপসারণ হয়, তা খতিয়ে দেখতে হবে।

কে দেখবে সেটা? আপনি-আমি?

না, আমরা তাদের প্রকৃত চরিত্র সম্পর্কে কিছুই জানি না। তাই না জেনে শুনে আমাদের এই বিষয়ে নাক গলানো উচিত হবে না।

তাহলে কি দেশের বিচার বিভাগ?

হয়তো বা। তবে গত দেড় দশকে বিচার ব্যবস্থার উপর জনগনের যে আস্থা উঠে গেছে সেটা পুন:স্থাপিত হতে সময় লাগবে।

তাহলে কে বা কারা এই মজলুম শিক্ষকদের এই বিষয়টা দেখবে?

আমার ব্যক্তিগত মতে, এই বিষয়টি ঐ স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে ভালোভাবে বুঝে একটা সমাধান করতে পারবে। সাবেক শিক্ষার্থীরা, যারা ঐ শিক্ষকের কাছ থেকে পাঠদান গ্রহণ করেছেন, তারা কিছুটা হলেও তার সম্পর্কে জেনে থাকবেন। বাকিটা না হয় স্কুলের বর্তমান শিক্ষার্থী বা শিক্ষকদের থেকে শুনে নিলেন। এরপর চাকরিচ্যুত শিক্ষকের পক্ষ শুনে সব কিছু মিলিয়ে একটা তদন্ত করা যাবে। এই প্রক্রিয়ায় হয়তো সব সত্য উঠে আসবে।

যদি এই অপসরণকৃত শিক্ষকদের কেউ আসলেই ভুল ক্রমে এই অপসারনের শিকার হয়ে থাকে এবং সেটা যদি তথ্য উপাত্ত দ্বারা বিচার বিভাগে বা অ্যালামনাইদের কাছে প্রমাণিত হয়, তাহলে শুধু সেই শিক্ষককে চাকরী ফিরিয়ে দেয়াই উচিত হবে না, সাথে সমস্ত স্কুলের শিক্ষার্থী এবং স্টাফদের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া পূর্বক তাতে সসম্মানে স্কুলে ফিরিয়ে নিতে হবে। শুধু তাই নয়, চাকরিচ্যুত থাকা সময়ের বেতনও তাকে সসম্মানে বুঝিয়ে দিতে হবে।

শিক্ষকদের প্রতি ব্যক্তিগতভাবে আমার সম্মানের কোনো কমতি নেই। এখনও যদি কোনো স্যারের সামনে পড়ে যাই , দু-হাত অটোমেটিক পিছে গিয়ে কাঁচুমাচু হয়ে যায়, চোখ সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। তবে আমার সৌভাগ্যও বটে যে আমি দেশের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানগুলোতে থেকে পড়াশুনা করার সুযোগ পেয়েছি। সেই ছোটো বেলা থেকেই শিক্ষকদের বিষয়ে নিজেকে খুবই লাকি মনে করি। কড়া অনেক শিক্ষক পেয়েছি, তবে চরিত্রহীন বা ম্যোরালি করাপ্টেড একজনও না। এজন্যই হয়তো আমার স্কুল এবং কলেজ থেকে এখনও কাউকে অপসারন করার মতো লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেনি। এই দিকে থেকে নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে করি। তবে মফস্বল এলাকায় বা গ্রামের দিকে শিক্ষার্থীরা হয়তো আমার মতো সৌভাগ্যবান নয়, যার কারনে এসব অপসারণের ঘটনা ঢাকার বাইরেই বেশি হচ্ছে।

তবে ঠিক এখন-ই মায়া ভরা মিউজিক দেয়া ভিডিও দেখে অপসরণকৃত শিক্ষকদের জন্য সাফাই গাওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, একজন সৎ এবং নিষ্ঠাবান শিক্ষকদের সাথে ছাত্ররা এরকম আচরণ করতে পারে না। তাই যাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে, তাদের মায়া কান্না বা ভিডিও দেখে দেশব্যাপি এই আগাছা দমনকে কলুষিত করা যাবে না। মায়া কান্না কিন্তু আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রীও ভালোই জানতেন। তাই এসব ভিডিও দেখে গলে গেলে হবে না। শিক্ষার্থীরা যেভাবে দেশ থেকে আগাছা সরিয়ে নতুন এক বাংলাদেশের গড়ে তোলার প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছে, সেই সুযোগটুকু তাদেরকে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও দিতে হবে।

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%82-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%95-%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b2/feed/ 0 8972
আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ আর আন্দোলনের পর সংখ্যালঘু https://rifatahmed.com/%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%86%e0%a6%93%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97-%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%96%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%98%e0%a7%81/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%86%e0%a6%93%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97-%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%96%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%98%e0%a7%81/#respond Mon, 12 Aug 2024 03:21:46 +0000 https://rifatahmed.com/?p=8958 আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ আর আন্দোলনের পর সংখ্যালঘু।

আন্দোলন যখন তীব্র, দেশে যখন ছাত্ররা মরতে শুরু করেছে, তখনই বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ আন্দোলন কারীদের “নব্য রাজাকার”, “রাষ্ট্র দ্রোহী” বলে আখ্যায়িত করে এবং এটাও দাবী করে যে আন্দোলনেরকারীরা যেন কোনো সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে চাকরি না পায়। আমার বানানো কথা না। প্রথম আলোতে সরাসরি তাদের বিবৃতির সোর্সঃ https://www.prothomalo.com/bangladesh/y9665rk2se

 

এমনকি অনেকে এক্টিভলি ছাত্রদের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছে। সবাই না, একটা অংশবিশেষ যারা সরকারের পদলেহন করে সুবিধা নিতে চাচ্ছিলো। আমার স্কুলের কিছু হিন্দু বন্ধুদের অনেক বেশি ভোক্যাল দেখেছি এই পুরো আন্দোলন জুড়ে। তারা প্রথম থেকেই ছাত্রদের, দেশের পক্ষে ছিল। কিন্তু এদের বাইরেও বেশ কিছু মাইনোরিটির এক্টিভিস্ট ছিল যারা পলিটিক্যালি মোটিভেটেড এবং পুরো সময়টাতেই সরকার পন্থী ছিল। এখন আন্দোলনের পরে যখন তাদের সেই অবস্থানের বিরুদ্ধে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাসা বাড়িতে ভাঙচুর শুরু হয়, ঠিক যেমনট হচ্ছিল মুসলিম আওয়ামী নেতাদের বাড়িতে, সেটাকে তারা চালিয়ে দিয়েছে সংখ্যালঘুর উপর আক্রমন হিসেবে। ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া গোষ্ঠী এখন সিম্প্যাথির জন্য সংখ্যালঘুর ট্যাগ ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। গুজব ছড়াচ্ছে গনহত্যার এবং গন ধর্ষণের।

ভারতের মিডিয়া এবং এদেশে ভারতের দালালরা খুব জোরে সোরে এগুলো নিয়ে প্রচারনা চালাচ্ছে। মাশরাফির বাড়ি পোড়ানোর ঘটনাকে লিটনের বলে চালিয়ে দেয়া, সরকার দলীয় নেতার হোটেল পোড়ানোকে মন্দির বলে চালিয়ে দেয়া, কয়েক বছর আগে খোদ ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে হওয়া এক গন ধর্ষণকে আমাদের দেশে হিন্দুদের উপর হওয়া অত্যাচার হিসেবে চালিয়ে দেয়া, আওয়ামী নেতার মৃতদেহ অরাজনৈতিক হিন্দুলোকের বলে চালিয়ে দেয়া, চোরকে আর্মিদের দেয়া শাস্তিকে দেশে হিন্দুর বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন বলে চালিয়ে দেয়া, গত পরশু গোপালগঞ্জে আর্মির গাড়ি বহর যাওয়াকে হিন্দুদের বিরুদ্ধে মিলিটারি আক্রমন বলে চালিয়ে দেয়া — এরকম আরো অসংখ্য ‘চালিয়ে দেয়া’র ঘটনা ঘটেছে বিগত কয়েকদিনে।

এই সব চালিয়ে দেয়া নিউজের মাঝে ঢাকা পড়ে গেছে গুটি কয়েক সত্য ঘটনা যেখানে আসলেই এই দাঙ্গার মাঝখানে বেশি কিছু হিন্দুদের বাসা-বাড়ি, দোকান-পাট, মন্দির ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এখানে কিছু সাম্প্রদায়িক ভাংচুরও আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের দেয়া বিবৃতিকে কেন্দ্র করে। তবে এসব ভাঙচুরের অধিকাংশই করেছে আওয়ামী লীগ। অসংখ্য ভেরিফাইড নিউজ আছে এ নিয়ে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার এবং অন্যান্য মিডিয়ায়। এগুলো তারা করেছে বহির্বিশ্বকে এটা বোঝানোর জন্য যে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার চলে যাওয়ায় কতটা অসহায় হয়ে পড়েছে। এই বিষয়টি সম্পূর্ণরুপে বুঝতে এবং আসলেই হিন্দুদের সাথে কি হচ্ছিলো সে সম্পর্কে জানতে হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রমানিকের এই রিসেন্ট ইন্টারভিউটা দেখে আসতে পারেন (২৫ঃ৩০ মিনিট থেকে ৩৩ঃ৩০):  https://youtu.be/Bn6dRfRjaR4?si=y7zLhrdi3Z3mk48y&t=1526

আর এদিকে আমাদের প্রতিবেশি ভারতে বলা হচ্ছে বাংলাদেশে হিন্দুদের গনহত্যা চলছে, মহিলাদের গন ধর্ষণ হচ্ছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এদেশে কোথাও কোনো মাইনোরিটিদের গনহত্যা চলছে না। কোথায় হিন্দুদের শত শত লাশের সারি জমছে না। এদেশে যদি কোথাও গনহত্যা হয়, তবে সেটা হয়েছে এদেশের সরকার কর্তৃক ছাত্রদের উপর। এবং পরোক্ষভাবে এই গনহত্যায় সায় দিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। আপনাদের সেই বিবৃতি প্রত্যাহার করে দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ করছি।

 

আমি হিন্দু বিদ্বেষী না, তবে ভারত বিদ্বেষী বলতেই পারেন। যেদেশে বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানানোতে পুরো দেশ আনন্দে মেতে ওঠে সেদেশ আর যাই হোক, কোনোভাবেই অসাম্প্রদায়িক বা ধর্ম সহিষ্ণু হতে পারে না। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ভারত থেকে বহুগুন এগিয়ে। মন্দির ভাঙ্গার ঘটনাগুলো শোনার পর ভারতীয়দের মতো আনন্দ উল্লাস বা বাহবা তো দূরের কথা, উল্টো দেশের সবাই উঠে পড়ে লেগেছে সেগুলো রক্ষা করতে।

যাইহোক, ভারত সরকার এখনও বাংলাদেশ ইস্যুকে নিজেদের সুবিধায় ব্যবহারের ধান্দায় আছে। এ নিয়ে বিস্তারিত জানতে এবং বাংলাদেশে হিন্দুদের কেন্দ্র করে যে ভাঙচুর তার সঠিক মাত্রা জানতে চাইলে এক ভারতীয়ের তথ্যবহুল বিশ্লেষণ দেখতে পারেনঃ https://youtu.be/Z1O1KhGkjGg?si=dEBNVXwgukIqGqmW

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%86%e0%a6%93%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97-%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%96%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%98%e0%a7%81/feed/ 0 8958 সংস্কারের শুরু কোথায়? | মুক্তবাক | Muktobak | 11 August 2024 | Channel 24 nonadult
কুচিন্তাঃ ‘আগেরটাই ভালো ছিল’ | মানি লন্ডারিং | ঋণ | অন্তর্বর্তী সরকার | ড. ইউনূস https://rifatahmed.com/%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%83-%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%8b-%e0%a6%9b%e0%a6%bf%e0%a6%b2-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%82-%e0%a6%8b%e0%a6%a3-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%80-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a1-%e0%a6%87%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%82%e0%a6%b8/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%83-%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%8b-%e0%a6%9b%e0%a6%bf%e0%a6%b2-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%82-%e0%a6%8b%e0%a6%a3-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%80-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a1-%e0%a6%87%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%82%e0%a6%b8/#respond Fri, 09 Aug 2024 12:41:25 +0000 https://rifatahmed.com/?p=8953 যারা ‘আগেরটাই ভালো ছিল’—এই কুচিন্তার ধারে-কাছেও আছেন তাদের জন্য গতমাসে আমার পাওয়া একটা ইমেইলের অংশবিশেষ।

… We are unable to process your orders for the above-named company as we do not accept applications where one of the people in the company is currently a resident of Bangladesh. We have deemed orders from this country to be of high risk due to weak anti-money laundering regulations and/or a high risk of terrorist financing. …

আমার প্রতিষ্ঠানটি মূলত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে একটি একক মালিকানাধীন কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধনকৃত। তবে বাইরের দেশের ক্লায়েন্টদের ম্যানেজ এবং বিল-পেমেন্ট সংক্রান্ত কিছু বিষয়াদির জন্য আমি ডেফ্টাইল্ড-কে যুক্তরাজ্যে একটি শেয়ারভিত্তিক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবেও নিবন্ধন করি।

প্রতি বছর যেমন বাংলাদেশে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন এবং ভ্যাট জমা দেয়া লাগে, ইউকে-তেও ব্যবসার কর্পোরেশন ট্যাক্স দেয়ার জন্য একাউন্টস সাবমিট করতে হয়। কিন্তু যেহেতু আমি নিজে প্রতিবছর ইংল্যান্ডে গিয়ে এগুলো জমা দিয়ে আসতে পারি না, এই সব দাপ্তরিক কাজের জন্য ইউকে-এর একটি সরকারী এজেন্সির হেল্প নিতাম। এবছরও একাউন্টস জমা দেয়ার জন্য তাদের ফাইলিং সার্ভিস অর্ডার করি গত মাসে। কিন্তু আমি বাংলাদেশি হওয়ার কারনে তারা আমার কোম্পানির জন্য ট্যাক্স ফাইল রেডি করে দিবে না বলে জানায়। অর্ডার ক্যান্সেল করে রিফান্ডও দিয়ে দেয়। ইমেইলে যদিও দুটি সম্ভাব্য কারন বলে দিয়েছে তারপরও কনফার্ম হওয়ার জন্য তাদের সাপোর্টে যোগাযোগ করি। জানতে পারি যে ইউকে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী যেসব লিমিটেড কোম্পানির বোর্ডে বাংলাদেশি শেয়ার হোল্ডার আছে সেসব কোম্পানির পরিচালনা বিষয়ে কোনো হেল্প তারা করবে না। কেননা ব্রিটিশ সরকারে চোখে বাংলাদেশ মানি লন্ডারারদের অভয়ারণ্য।

গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেছে

আমাদের দেশে খরচযোগ্য রিজার্ভ কতো আছে জানেন?

মাত্র ১৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। অর্থাৎ এই মুহূর্তে ১৮ কোটি মানুষের পুরো দেশের খরচ মেটাতে যে পরিমাণ অর্থ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মজুদ আছে তার দশ গুন দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে এক সরকারের আমলেই।

তাছাড়া আমাদের দেশের ঘাড়ে যে ১০০ বিলিয়ন ডলার ঋণ রয়েছে, তার ৮৫ শতাংশই ঋণ করা হয়েছে গত ১৫ বছরে।

এসব কিছু জানার পড়েও ইউকে সরকারকে কিভাবে দোষ দেই?

আমাদের দেশে যে পরিমাণ মানি লন্ডারিং হয়ে গেছে গত দেড় দশকে, আমার নামে যে ব্রিটিশ সরকার এতদিন তাদের দেশে ব্যবসা চালানোর জন্য মামলা দিয়ে দেয় নাই সেটাই বেশি।

প্রতিবছর সময় মতো ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেই। ৩০ জুন ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়; ১ জুলাই সকালে সবার আগে ব্যবসার লাইসেন্স রিনিউ করি। ডলার যদি খোলা মার্কেটে বিক্রি করি, ডলার প্রতি ১০-১২ টাকা বেশি বিক্রি করতে পারি। ব্যবসার লাভ, নিজের লাভ, ইমপ্লয়িদেরও একটু বেশি বেতন দিতে পারি। কিন্তু সেটা না করে দেশের কথা চিন্তা করে বছরে কয়েক লাখ টাকা এভাবেই ছেড়ে দিয়ে ব্যাংকে সব টাকা আনি। এসব কিছুর বদলে এই সরকার যাওয়ার আগে আমাকে কি দিয়ে গেছে জানেন? বহির্বিশ্বের কাছে আমার পরিচয় হিসেবে একটা ‘মানি লন্ডারার’-এর পরিচয় দিয়ে গেছে।

ছাত্রদের গনহত্যা তো দেখলেন-ই। আয়নাঘরের বাস্তবতাও সবার কাছে স্পষ্ট। চাকরিতে কি পরিমাণ দলীয় নিয়োগ হতো তার কাগজে সামনে আসতে শুরু করেছে। এত কিছু দেখার পরেও যদি ‘আগেরটা ভালো ছিল’ এরকম কুচিন্তা মাথায় আসে, মাথাটা খুলে ছাত্রদের দান করে দেন। ফুটবাল বানিয়ে খেলুক।

তবে আশার কথা হলো নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়ে গেছে। ড. ইউনূস-কে নিয়ে আমার ও এদেশের মানুষের অনেক আশা। বিশেষ করে অর্থনীতিতে। উনি দেশ পরিচালনায় কতটা সক্ষম সেটা সময়-ই প্রমাণ করে দেবে। তবে অর্থনীতি উনার প্লেয়িং গ্রাউন্ড। উনি এই বিষয়ে পণ্ডিত। তাছাড়া দেশ-বিদেশে নাম-ডাক, সম্মান, খ্যাতি — সবই আছে উনার। আশা করি উনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে ‘ঋণগ্রস্থ জাতি’, ‘চোরের দেশ’, ‘অর্থ পাচারকারী রাষ্ট্র’ এসব ট্যাগ থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে।

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%83-%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%8b-%e0%a6%9b%e0%a6%bf%e0%a6%b2-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%82-%e0%a6%8b%e0%a6%a3-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%80-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a1-%e0%a6%87%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%82%e0%a6%b8/feed/ 0 8953
গুজবের ভয়াবহতা — ইংল্যান্ড-ভারত-বাংলাদেশ প্রসঙ্গ https://rifatahmed.com/%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%9c%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ad%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%87%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a4-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%9c%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ad%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%87%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a4-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97/#respond Wed, 07 Aug 2024 07:39:24 +0000 https://rifatahmed.com/?p=8948 গুজবের ভয়াবহতার একটা সাম্প্রতিক উদাহরণ দেই।

আমরা যখন এদেশে স্বৈরাচার হটাতে ব্যস্ত তখন সুদূর ইংল্যান্ডে একটা ১৭ বছর বয়সের যুবক একসাথে তিনটা বাচ্চা মেয়েকে খুন করে এবং কয়েকজনকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে। সেই ছেলেটার চেহারা যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, তখন কেউ একজন ছেলেটাকে মুসলমান দাবী করে এমন কিছু মন্তব্য করে যার কারনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এন্টি-মুসলিম দাঙ্গা শুরু হয়। বিভিন্ন ইসলামিক ইন্সটিটিউটে ভাংচুর হয়। ধীরে ধীরে সেটা এন্টি-ইমিগ্রেন্ট দাঙ্গায় রূপ নেয়। মুসলমানদের বাসায় হামলার পাশাপাশি যেই সব অফিস-আদালত এবং লয়ার এজেন্সি তাদের সাহায্য করতো, তাদের উপরও হামলা হয়।

শেষমেশ যদিও প্রমাণিত হয় যে ছেলেটা ব্রিটিশ নাগরিক, নাম এক্সেল রুডাকুবানা এবং ইসলামের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নাই, ততক্ষণে ঘৃণা যা ছড়ানোর ছড়িয়েছে গেছে এবং ক্ষয়ক্ষতি যা হবার কথা হয়ে গেছে। হতাহতের সংখ্যা এখনও পুলিশ প্রকাশ করে নাই তবে কয়েকশত লোক আটক হয়েছে, আহতও হয়েছে বেশ কিছু।

বৃটেনের পুলিশ এখন এই এন্টি-মুসলিম দাঙ্গা ঠেকানোর জন্য খুব জোরে সোরে নেমে পড়েছে। এখন হয়তো পরিস্থিতি একটু ঠান্ডা আছে।

ঠিক এই কারনে গত দু-দিন ভারতীয় গনমাধ্যম নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলাম। মিস-ইনফরমেশন ছড়াতে ছড়াতে এমন এক পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে কিছু টুইট দাবী করতেছিলো আমাদের দেশে হিন্দুদের গনহত্যা চলতেছে। হাজার হাজার হিন্দুদের পুড়িয়ে তাদের লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। দেশের আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে যেই দাঙ্গা হচ্ছিলো, সেগুলোকেও হিন্দুদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছিল।

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এরকম কোনো গনহত্যাই হয় নাই হিন্দুদের বিরুদ্ধে। বেশ কিছু জায়গায় ভাঙচুর হয়েছে, জ্বালাও পোড়াও হয়েছে। সেটা যেমন আওয়ামী নেতাদের বা সাধারণ মুসলমানদের বাড়িতে হয়েছে, হিন্দুদের বাড়িতেও হয়েছে। বিশেষ করে হিন্দুদের মন্দিরগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এগুলো খুব সহজেই ঠেকানো যেত মিলিটারি ডিপ্লয় করে। তবে ভারতের সিম্প্যাথি পাওয়ার জন্য এটাই হয়তো হাসিনার শেষ চাল ছিল।

যখন পুরো দেশে অরাজকতায় নিমজ্জিত তখন দেশে কোনো বাহিনী-ই সেভাবে একটিভ ছিল না। থাকলে সবগুলো মন্দির আর হিন্দু বাড়িঘর-ব্যবসা এই সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচানো যেত।

তবে কথা হচ্ছে, কোথায় হাজার হাজার হিন্দুদের মেরে গনহত্যা চলে নি। হিন্দুদের শত শত মৃত লাশ ঝুলিয়েও রাখা হয় নি। শুধুমাত্র হিন্দুদের-ই বাড়িঘর জ্বালাও পোড়াও হয়নি। তবে ভারতে অনেকের কাছে এর উল্টো বার্তাটাই পৌছাচ্ছিল। অনেকে প্যালেস্টাইন, যেখানে প্রকৃতপক্ষে গনহত্যা চলছে, তার সাথে বাংলাদেশের তুলনা দিচ্ছিলো। এরকম মিস-ইনফরমেশন কতগুলোই আর রিপোর্ট করে রিমুভ করা যায়?

মুসলিম বিদ্বেষ যা ছড়ানোর তা ছড়িয়ে গিয়েছে ভারতে। এর প্রভাব নিশ্চয়ই ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং ভারতে মুসলিম মাইনোরিটি-র উপর পড়বে। এসবের জন্য মূলত দায়ী (১) বাংলাদেশের কিছু সন্ত্রাস যারা মুসলমান ঘরে জন্ম নিয়েছে ঠিকই কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষা নেয় নি।, (২) ভারতীয় গণমাধ্যম যাদের শুধু নিউজ বিক্রি করা দিয়ে কথা এবং (৩) বাংলাদেশি এবং ভারতীয় সাধারণ নাগরিক যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় সঠিক ব্যবহার এখনও শিখতে পারে নি।

ইন্ডিয়ানদের তেমন দোষ দিয়ে লাভও নেই। ওরাও বাংলাদেশিদের মতো অতি-আবেগী। ধর্ম নিয়ে কথা উঠলেই কারো বাপ-মা উদ্ধার বাকি থাকে না। তথ্য ভেরিফাই করার আগেই ঘৃণা ছড়িয়ে যায়। এখন ভারতে আমাদের ইস্যু নিয়ে কি অবস্থা জানি না। গতকাল সারাদিন এক্সে বাংলাদেশ নিয়ে যা দেখেছি, মুসলমানদের নিয়ে যত খারাপ কথা শুনেছি, এর পরে আর আবার সেগুলো ঘাটাঘাটি করার মানসিক শক্তি নাই।

তিনটা পয়েন্ট বলে শেষ করতে চাই।

(১) এই সিচুয়েশনে কারফিউ বা জরুরি অবস্থা জারি না করা ছিল জাতিগতভাবে আমাদের সবচেয়ে বড় ভূল।

(২) সন্ত্রাসীদের এভাবে ধর্মের সাথে লিংক করার মনোভাবটা আমাদের অতিসত্বর ত্যাগ করতে হবে।

(৩) যেকোনো তথ্য শেয়ার করার আগে একটু ভেরিফাই করে নিতে হবে। চেক করতে হবে যে ইনফরমেশনটা কোনো রিলায়েবল সোর্স থেকে পাওয়া কিনা। এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে এটা তেমন কঠিন কিছু না। আপনি যদি এতটুকুও না পারেন, তবে প্রতিজ্ঞা করেন যে আজ থেকে ভেরিফাইড সংবাদ মাধ্যমে ছাড়া কোনো র‍্যান্ডম পেজ বা প্রোফাইলের কোনো কিছু শেয়ার করবো না। এতে করে গুজব ছড়ানো সম্পূর্ণ বন্ধ না হলেও, ৯৫ শতাংশ কমে যাবে।

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%9c%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ad%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%87%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a4-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97/feed/ 0 8948
সরকারি কাজে এত জটিলতা কেন? — বিআরটিএ-এর অভিজ্ঞতা https://rifatahmed.com/%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%a4-%e0%a6%9c%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%8f-%e0%a6%8f%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%a4%e0%a6%be/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%a4-%e0%a6%9c%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%8f-%e0%a6%8f%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%a4%e0%a6%be/#respond Wed, 20 Mar 2024 11:45:31 +0000 https://rifatahmed.com/?p=8427 বাংলাদেশে সরকারী কাজের গ্রাহক পর্যায়ে যেসব জটিলতা আছে তা দূর করার সক্ষমতা এ দেশের আছে।
তাহলে প্রশ্ন করতে পারেন, সরকারি কাজে এত জটিলতা কেন? আমাদের দেশে কি মেধার এতই অভাব?
না, আমাদের দেশে মেধা এবং মেধাবীর কোনো সংকট নেই। সরকারি দপ্তরগুলো চাইলে কাল থেকেই সকল কাজ অনলাইনের মাধ্যমে কোনো প্রকার জটিলতা ছাড়াই সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করতে পারবে। এরকম মেধা এবং রিসোর্স এদেশের আছে।
তবে সমস্যাটা হলো — দিনশেষে টাকার কাছে গিয়ে সবাই হেরে যায়; মেধাবীরাও।

আজ একটা কাজে মিরপুর বিআরটিএ-তে গিয়েছিলাম। বাইরের একটা কম্পিউটারে দোকানে বসে কিছু কাজ করিয়ে নিচ্ছিলাম। এমন সময় একজন গ্রাহক এসে দোকানিকে জিজ্ঞেস করলো “ভাই, এপয়েন্টমেন্টর জন্য ঐটা (কোনো একটা ছবি কিংবা কাগজ বুঝাচ্ছিলো) কী অনলাইনে জমা দেয়া লাগবে?”
লোকটি দোকানির পরিচিত ছিল। উনি গাড়ির ফিটনেস অথবা লাইসেন্সের পরীক্ষার অ্যাপয়েন্টমেন্ট এর কথা বলতেছিলো, সেটা বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু কোন ডকুমেন্টের কথা বলছিল সেটা খেয়াল করি নাই।
যাই হোক, প্রশ্নের প্রত্যুত্তরে দোকানি বলে উঠলো, “দেয়া লাগবে মানে? মাসে মাসে টাকা দেই এইটা চালু রাখার জন্য। এইটা বন্ধ কইরা দিলে তো বিআরটিএ বন্ধ কইরা দিমু। যেইদিন এইটা বন্ধ করে দিবো সেইদিন মিরপুর বিআরটিএ-র গেটে তালা মাইরা দিমু।”
অর্থাৎ ওই এলাকা বা দেশ জুড়ে যেসব দোকান বা লোক বিআরটিএ-এর কাজ গুলো করে তারা সবাই মিলে মাসে মাসে টাকা দিয়ে সিস্টেমটাকে অনর্থক জটিল করে রাখতেছে। এতে টাকা পাচ্ছে দপ্তরগুলোর সরকারি কর্মকর্তারা, লাভবান হচ্ছে দালাল-দোকানগুলো আর বিনা প্রয়োজনে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে সমগ্র দেশের মানুষ।

এর আরেকটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো, ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সময় মেডিকেল রিপোর্ট।
এই রিপোর্টটা দুনিয়ার কোনো কাজে আসে না বা কেউ চেক করে না। তবে লাইসেন্স বানাতে হলে সেটা লাগবেই। এটা আপলোড না হলে লাইসেন্সের আবেদন করা যাবে না।
এই অপ্রয়োজনীয় কাগজটা না লাগলে দেশের শতভাগ মানুষ নিজের ফোন থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিজে নিজে বানাতে পারবে। কিন্তু এই একটা অপ্রয়োজনীয় কাগজের জন্য সবাইকে এই দোকানগুলোর দারস্থ হতে হয়।

এমন না যে দোকানিরা একটা একচ্যুয়াল মেডিকেল রিপোর্ট বানিয়ে দিচ্ছে যা দ্বারা বিআরটিএ-এর কর্মকর্তা প্রার্থীর শারীরিক সক্ষমতা সম্পর্কে নিশ্চিত হচ্ছে। না এমন কিছুই না। তারা সাইন-সিল সহ বানানো একটা মেডিকেল রিপোর্টে শুধু ছবিটা বসিয়ে দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছে। নামটাও বসাচ্ছে না ফর্মে কারন তারাও জানে এটা আপলোড করার পর এর কোনো কাজ নাই। কেউ ওভাবে যাচাই বাছাই করবে না।
আমার মনে হয় না সেই রিপোর্টে আমার ছবির বদলে রাস্তার একটা কুকুরের ছবি বসিয়ে আপলোড করলেও সেটা ধরা পড়বে। দোকানিদের ভাষ্যমতে এর কাজ আপলোড হওয়া পর্যন্তই।
তবে এই একটা রিপোর্টে দিয়েই এই দালালগুলো জিম্মি করে রাখতেছে পুরো দেশটাকে আর টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখতেছে পুরো বিআরটিএ-এর।

আর সেই বিআরটিএ-এর কর্মকর্তাদের ব্যক্তিত্বও বা কি রকম?
এত পড়ালেখা করে ৭ম, ৮ম, ৯ম গ্রেডের পদে অধীনস্থ থেকেও এরকম শিক্ষা-জ্ঞানহীন দালালদের সামনে শুধুমাত্র টাকার লোভে জি হুজুরি করেছে তারা। কি লাভ এই শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পদমর্যাদার যদি দালালরাই আপনার অফিস খোলা থাকবে না বন্ধ থাকবে সেটা নির্ধারণ করে দেয়? কেমন নীতি নির্ধারক আপনি যদি আপনার দপ্তরের নীতি দালালদের কথায় নির্ধারিত হয়?
এরকম ব্যক্তিত্বহীন কর্মজীবনের চেয়ে রিক্সা চালিয়ে খাওয়াও অধিক সম্মানের বলে আমি মনে করি।

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%a4-%e0%a6%9c%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%8f-%e0%a6%8f%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%a4%e0%a6%be/feed/ 0 8427
Asad Noor must be brought to justice for his disgusting remarks and his unapologetic attitude toward believers https://rifatahmed.com/asad-noor-must-be-brought-to-justice-for-his-disgusting-remarks-and-his-unapologetic-attitude-toward-believers/ https://rifatahmed.com/asad-noor-must-be-brought-to-justice-for-his-disgusting-remarks-and-his-unapologetic-attitude-toward-believers/#respond Mon, 07 Aug 2023 14:56:51 +0000 https://rifatahmed.com/?p=7893 As long as you limit your criticism to the asinine remarks made by pretentious and ignorant religious speakers, you are appreciated and, more or less, respected by the scholars of the faith and the masses for exposing their fallacies. But when you drag the prophet and the religion down in your ignorant and ill-intended rant with your pseudo-knowledge of the scriptures or the faith itself, you’ve just crossed the line and must prepare to face the repercussions.

Apology is not enough!

Asad Noor must be brought to justice for his disgusting remarks and his unapologetic attitude toward believers.

 

 

Post by @rifat5670
View on Threads

 

https://www.tumblr.com/rifat5670/725008975557541888/asad-noor-must-be-brought-to-justice-for-his

]]> https://rifatahmed.com/asad-noor-must-be-brought-to-justice-for-his-disgusting-remarks-and-his-unapologetic-attitude-toward-believers/feed/ 0 7893 বসবাসের অযোগ্য নগরীতে রূপ নিচ্ছে চট্টগ্রাম https://rifatahmed.com/%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a7%82%e0%a6%aa-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a7%82%e0%a6%aa-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae/#respond Tue, 25 Apr 2023 13:37:46 +0000 https://rifatahmed.com/?p=7416 চট্টগ্রামের যে বিল্ডিংটাতে থাকি তার সামনে উঠানের মতো একটা জায়গা আছে। শহরের মধ্যে বিল্ডিংয়ের নিচে এরকম গাছপালা ভর্তি খালি জায়াগা পাওয়া একরকম স্বপ্নের মতোই।
গরমের দিনে ক্যাম্পাস থেকে আসার সময় মেইন গেট দিয়ে ঢুকলেই গাছগুলোর জন্য একটা প্রশান্তির ঠান্ডা অনুভত হতো। শীতের দিনে উঠানের এই খালি জায়গাতেই ব্যাডমিন্টন খেলার সময় এই গাছেই বাল্বগুলো লাগানো হতো।

অনেককেই এই বাসাটার উদাহরণ দিতাম। কিছুদিন আগেও যখন হিটওয়েভে অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম। সামনে যাকে পাইছি তাকেই বলছি এই বাসাটার মতো বিল্ডিংয়ের আসেপাশে গাছ লাগানোর কথা। ঈদের ছুটিতে বন্ধু যখন বাড়িতে যাচ্ছে, তখনও মনে করিয়ে দিলাম এই ফাঁকে কিছু গাছ লাগিয়ে আসতে।

আজ সকালে যখন বাসা থেকে বের হওয়ার সময় রোদ সরাসরি চেহারায় এসে পড়লো, তখনই টের পেলাম যে কিছু একটা মিসিং। উপরে তাকিয়ে দেখলাম কয়েকটা গাছের ডাল কেটে শুধু কান্ডগুলো বৈদ্যুতিক খুটির মতো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। বাইরে থেকে বাসায় ফিরতে ফিরতে সে কাষ্ঠল খুঁটি গুলোও নামানো শুরু হয়ে গেছে দেখলাম।

চট্টগ্রামের সি আর বি-ও নাকি উপরে ফেলা হবে। কেটে ফেলা হবে শিরিষ তলার সেই বটবৃক্ষ। কিছুদিন আগেও এর বিরুদ্ধে অনেক আন্দোলন হয়েছে। লাভ হয়েছে কিনা জানি না।

জলবায়ুর উষ্ণতা কমানোর বদলে শহরে টুকটাক গাছ যা ছিল তাও কেটে ফেলা হচ্ছে কোনো না কোনো অজুহাতে। চোখের সামনে সুন্দর একটা শহরকে এভাবে ঢাকার মতো বসবাসের অযোগ্য হতে দেখে অবাক না হয়ে পারি না।

 

 

 

 

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Rifat Ahmed (@rifat5670)

 

 

 

 

https://www.tumblr.com/rifat5670/715583707034107904/%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%B8-%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AF-%E0%A6%97-%E0%A6%AF-%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%B0-%E0%A6%A4-%E0%A6%B0-%E0%A6%AA-%E0%A6%A8-%E0%A6%9A-%E0%A6%9B-%E0%A6%9A%E0%A6%9F-%E0%A6%9F%E0%A6%97-%E0%A6%B0-%E0%A6%AE-rifat

 

 

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a7%82%e0%a6%aa-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae/feed/ 0 7416
আমিও চাই আর্জেন্টিনা এবারের বিশ্বকাপ জিতুক https://rifatahmed.com/%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%93-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%aa-%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%95/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%93-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%aa-%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%95/#respond Wed, 14 Dec 2022 06:40:19 +0000 https://rifatahmed.com/?p=5270 সকালের নাস্তা আনার জন্য বাইরে বের হচ্ছিলাম।

বাসা থেকে বের হওয়ার পথে আমাদের বিল্ডিংয়ের সামনে একটা উঠানের মতো জায়গা আছে। বিল্ডিংয়ের বারান্দাগুলো থেকে ঐ জায়গাটা স্পষ্ট দেখা যায়।

আজ ঐ জায়গা দিয়ে যাবার সময় হঠাৎ উপর থেকে কে যেন “এই ব্রাজিল!” বলে ডাক দিলো। আমি বিস্ময়ের-সহিত ঘাড় ঘুরিয়ে উপরে তাকিয়ে দেখি আমাদের বাড়িওয়ালী আন্টি উপরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাসতেছে।

আমরা ফ্ল্যাটের অনেকেই এই বিশ্বকাপে রাত-বিরাতে ব্রাজিলের ম্যাচ দেখতে চট্টগ্রামের প্যারেড গ্রাউন্ডে চলে যেতাম, তাই আন্টি যাওয়া আসার সময় দেখতো আমাদের। একদিন জিজ্ঞেসও করে ফেলছে আমরা কে কোন দল সাপোর্ট করি। তানভীর আর আমিই শুধু ব্রাজিলের সমর্থক ছিলাম এই গ্রুপে।

আন্টি আবার কট্টর আর্জেন্টিনার সমর্থক। গতকাল রাতে আর্জেন্টিনার এরকম অসাধারণ জয়ের পর আন্টি সুযোগ পেয়ে উপর থেকেই জিজ্ঞেস করে বসলো “ব্রাজিলের কি খবর?”

আমি হাসিমুখে বলে চলে এলাম, “আন্টি, এবার আপনারা নেন। আগামীবার আমরা নিয়ে নিবো নে।” এ কথা বলে চলে এলাম ওখান থেকে।

 

রাস্তায় বেরিয়ে একটা জিনিস উপলব্ধি করলাম। ব্রাজিলের সমর্থক হিসেবে আমাদেরও উচিত ফাইনালে আর্জেন্টিনার সাপোর্ট করা।

আমার এই উপলব্ধির পিছনে তিনটি কারন রয়েছে।

 

প্রথমত, মেসির অর্জনের খাতায় একটা বিশ্বকাপ লেখা থাকুক এটা সমগ্র বিশ্ববাসী-ই চায়।

কেনো যেন এ যুগের লেজেন্ডদের কপালে জাতীয় দলের জন্য কোনো বিশেষ অর্জন নেই। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রিশ্চিয়ানোর রোনালদোর সাথে যা হলো তা খুবই লজ্জাজনক। এ রকম একজন প্লেয়ারকে এত গুরত্বপূর্ণ ম্যাচে বেঞ্চে বসিয়ে রেখে এভাবে বিশ্বকাপের স্বপ্ন ভঙ্গ করে দিবে তা কখনোই কেউ অনুমান করতে পারে নি।

ক্রিকেটের সাকিব আল হাসানের কপালটাও মনে হয় এমনই। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হওয়ার সত্ত্বেও কপালে বিশ্বকাপ জুটবে বলে মনে হয় না।

তাই শুধু মেসির জন্য হলেও আর্জেন্টিনা এবার বিশ্বকাপ জিতুক এটা চাই।

 

দ্বিতীয়ত, আর্জেন্টিনার সাপোর্টারদের মুখের দিকে তাকিয়ে এবারের শিরোপা তাদের হাতে দেখতে চাই। আর্জেন্টিনার জয়ের পর এই বয়সে আন্টিকে যেই খুশি দেখলাম, ব্রাজিলের সমর্থক হয়ে আমি দুই একটা টিটকারি শুনলেও এই হাসি উনার মুখে অটল থাকুক সেটাই চাই।

তাছাড়া, বাংলাদেশে কত-শত যুবকের বিয়ে আটকিয়ে আছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতাকে উপলক্ষ্য করে, এই সুবাদে তাদেরও বিয়ে হয়ে যাবে।

আর একটা আস্ত জেনারেশন আছে যারা তাদের জীবদ্দশায় আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিততে দেখেনি। আর্জেন্টিনার শিরোপা জিতলে তাদের আফসোস টাও মিটে যাবে।

 

সবশেষ, এই বার আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতলে ব্রাজিলের শিরোপার অর্ধেকে আসবে।

এতদিন ৫টা শিরোপা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পঞ্চম আসমানের উপর উঠে বসে আছি। বোর হয়ে যাচ্ছি। চিন্তা করতেছি ব্রাজিলের টিমকে বলবো আগামী ৫০ বছর বিশ্বকাপ না খেলতে। ছোটোদেরকেও জেতার সুযোগ দেয়া উচিত। আর্জেন্টিনা যখন ৫ টা নিয়ে ফেলবে তখন না হয় আবার কম্পিটিশনে নামবো। আপাতত না হয় উদার হয়ে বাকিদের জিততে দিয়ে আমাদের কাছাকাছি আসার সুযোগ করে দেই।

 

 

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%93-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%aa-%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%95/feed/ 0 5270
Posting Blood-Soaked Knives or Clothes Is Barbaric – Eid Mubarak! https://rifatahmed.com/posting-blood-soaked-knives-or-clothes-is-barbaric-eid-mubarak/ https://rifatahmed.com/posting-blood-soaked-knives-or-clothes-is-barbaric-eid-mubarak/#respond Sun, 10 Jul 2022 04:00:07 +0000 https://rifatahmed.com/?p=4310 Unpopular opinion: Posting blood-soaked knives or clothes is barbaric and, therefore, not okay. And posting the video of the sacrificial slaughter is absolutely inhumane.

The act of Qurbani is supposed to depict a father sacrificing his son for Allah, or at least his willingness to do so. I assure you; a father wouldn’t pose with the sacrificial blood of his son. If you don’t love or care for the animal, at least pretend for the sake of the religious significance it holds. Try to mourn for the animal that is supposed to be your dearest thing in the world. Allah only cares for your willingness and intent. The poor only wants the sacrificed meat as charity. But no one wants to see your blood-soaked clothes.

 

Eid Mubarak!

]]>
https://rifatahmed.com/posting-blood-soaked-knives-or-clothes-is-barbaric-eid-mubarak/feed/ 0 4310
পদ্মা সেতু শত সহস্র প্রার্থনার ফল https://rifatahmed.com/%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a7%81-%e0%a6%b6%e0%a6%a4-%e0%a6%b8%e0%a6%b9%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ab%e0%a6%b2/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a7%81-%e0%a6%b6%e0%a6%a4-%e0%a6%b8%e0%a6%b9%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ab%e0%a6%b2/#comments Sat, 25 Jun 2022 17:39:33 +0000 https://rifatahmed.com/?p=4255 ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের ঘটনা।

সন্ধ্যা হবে হবে এমন সময়টায় ফোন পেলাম যে নানী আর নেই। কাঁধের ব্যাগটা নিয়ে সাথে সাথে বেরিয়ে পড়লাম বাস কাউন্টারে।

দামপাড়া বাসস্ট্যান্ডে কয়েকটা কাউন্টার খুঁজে খুঁজে একটা বাসের সন্ধান পেলাম যেটা ৬.৩০ এ রওনা করবে। পিছনের দিকে একটা সিট পেয়ে উঠে গেলাম। মাথায় তখন চিন্তা একটাই, নানীর জানাজায় শরিক হতে পারবো তো?
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, তারপর ঢাকা থেকে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ফরিদপুর নানী বাড়ি যেতে হবে। অনেক দুরের পথ।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে টুকটাক জ্যামের মুখে পড়তে হলো। তাই ঢাকা পৌঁছাতে পৌঁছাতে রাত প্রায় ১ টা। গুলিস্তানে তাড়াহুড়ো করে নেমে মাওয়া যাবার বাস খুঁজতে লাগলাম। কিন্তু এই সময়ে কোনো বাস মাওয়া ছেঁড়ে যায় না। বংশাল রোডে দূর থেকে একটা বাস খেয়াল করলাম। বাসের ইঞ্জিন চলতেছে। তাই কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম।
একদল ছেলে মাওয়া যাচ্ছে ইলিশ খেতে তাই এই ভাঙ্গাচুরা লোকাল বাসটি যাচ্ছে ওইদিকে। চিন্তা ভাবনা না করে উঠে গেলাম।

মাওয়ার রাস্তায় এতটাই কুয়াশা ছিল যে বাস মাঝে মাঝে ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে থেমে থেমে আগাচ্ছিলো। রাত দুটোর দিকে মাওয়া ঘাটের আগে ইলিশ মাছের দোকানগুলোর সামনে বাসটি এসে থামলো। বাস নাকি আর সামনে যাবে না। লঞ্চ আর সি বোট বন্ধ, শুধু ফেরি ঘাট সচল। কিন্তু এখান থেকে ফেরি ঘাট অনেক দূরে।
হেঁটে কিছু দূর আগালেও খুব তাড়াতাড়ি-ই বুঝে ফেলছিলাম যে এই কুয়াশাতে হেঁটে অতদূর যাওয়া যাবে না। তাছাড়া ফেরি ঘাটের রাস্তাও ঠিক চিনি না। ঠিক কত বছর আগে ফেরিতে পার হয়েছিলাম তাও মনে নেই। তখন পদ্মার এপার-ওপার এই শিমুলিয়া-পাটুরিয়া ঘাট ছিল না। ছিল মাওয়া-কাওরাকান্দি ঘাট।
তাই অনেক খুঁজে ফেরী ঘাট পর্যন্ত একটা অটোরিক্সা ঠিক করলাম। এক কিলোর কম পথ কিন্তু সময়, কুয়াশা ও রাস্তার সুযোগ বুঝে চালক ১৫০ টাকা চেয়ে বসলো। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফেরি ধরতে হবে তাই কোনো পথ না পেয়ে চড়ে বসলাম।

 

 

১ নং ফেরি ঘাটে গিয়ে কিছু মানুষের সন্ধান হলো। কিন্তু গিয়ে শুনি প্রচন্ড কুয়াশা, বাতাস ও নদীর স্রোতের কারনে ঘাট বন্ধ। ফেরি পার হবে না।

আশে পাশে কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করতে করতে খবর পেলাম ৩ নং ঘাট থেকে একটা ফেরি ছেড়ে যাবে। একরকম দ্রুত গতিতেই ছুটে চললাম ফেরিটি ধরার জন্য।
হ্যা ঠিকই, গাড়ি দিয়ে ছোট্ট ফেরিটি প্রায় ভরে গেছে। আর দুটো বাস উঠলেই ছেঁড়ে দিবে এমন অবস্থা।
সময় অপচয় না করে ফেরিতে উঠলাম।

যেহেতু ছোট্ট ফেরি তাই ঐ বড় ফেরিগুলোর মতো সুবিশাল ক্যান্টিন নেই। নিচে বসার কোনো ব্যবস্থাও নেই।
এরই মধ্যে শুনতে পেলাম ফেরিটা এখন ছাড়বে না। কুয়াশা কমলে আর আবহাওয়া একটু ভালো হলে ছাড়বে।
যেহেতু ফেরি এইটা ফুল তাই চলাচলের অবস্থা হলে এটাই সবার আগে ছাড়বে সেই বিশ্বাস নিয়ে পিঠ ঠেকাবার একটা জায়গা খুঁজতেছিলাম পুরো ফেরিতে। কোথাও কোনো ব্যবস্থা না করতে পেরে অবশেষে একদম উপরে ছাদে উঠলাম। পুরো ছাদে আমি একা। কোনো মানুষ নেই ফেরিতে, শুধু গাড়ির যাত্রীরা ঘুমাচ্ছে যার যার গাড়িতে।

 

যদিও ছাদের মতো উপরের প্ল্যাটফর্মে একটা শেড দেয়া আছে, কিন্তু সেটা এই শীত থেকে বাঁচাতে যথেষ্ট নয়। ফেরি ছেড়ে কোথাও যেতেও পারছিলাম না এই ভয়ে যে আবহাওয়ার উন্নতি হলে ফেরিটা যেকোনো সময়েই হয়তো ছেঁড়ে দিতে পারে।
বরফের মতো ঠাণ্ডা বাতাস আর তার উপর কুয়াশা এতটাই ঘন ছিল যে ঘাটে বাধা ফেরি থেকে ঘাট দেখা যাচ্ছিল না। সেদিন সকাল প্রায় সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত এই আবহাওয়া ছিল।

 

 

সেদিনের সেই রাতে আমি টের পেয়েছি পদ্মা কতটা ভয়ংকর।
চট্টগ্রাম থেকে তাড়াহুড়ো করে আসার সময় ভারি শীতের কাপড়ও আনতে ভুলে গেছি। বাসায় এক গ্লাস কোক দশ কিউব বরফ দিয়ে খাওয়া আমি একটু গরমের আশায় ফেরির ইঞ্জিন রুমের ছিদ্রের পাশে ফ্লোরে জড়সড় হয়ে বসেছিলাম ইঞ্জিন রুম থেকে একটু গরম বাতাসের আশায়।
ঠান্ডা বাতাসে জমতে যাওয়া হাতের তালু পাতলা শার্টের ভিতর ঢুকিয়ে দিয়ে সে রাতে খোদার কাছে শুধু একটাই প্রার্থনা করতেছিলাম। আল্লাহ, আজ এক রাতের জন্য হলেও পদ্মায় একটা ব্রীজ বানিয়ে দাও।

 

পদ্মা সেতু এরকম শত সহস্র প্রার্থনার ফল।

এই পদ্মা ব্রীজ কে করলো এতে আমার কিছু আসে যায় না। কে সমালোচনা করলো সেটাও আমার দেখার এত আগ্রহ নাই। লোন নিয়ে করেছি নাকি নিজের টাকায়, সেটা হিসেব করারও এনার্জি নাই। আমি শুধু পদ্মায় একটা ব্রিজ চাইছিলাম সেদিন, সেটা পেয়ে গেছি। উপরওয়ালার কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া এর জন্য।

 

The Padma Multipurpose Bridge is a multipurpose road-rail bridge across the Padma River, the main distributary of the Ganges, in Bangladesh. It connects to Shariatpur and Madaripur, linking the southwest of the country, to the northern and eastern regions. The bridge was inaugurated on 25 June 2022. Once the bridge is operational, another Kolkata-Dhaka International train via Mawa, Goalando, Faridpur, Kushthia, Poradaho, Darshana & Gede may be introduced.

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a7%81-%e0%a6%b6%e0%a6%a4-%e0%a6%b8%e0%a6%b9%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%ab%e0%a6%b2/feed/ 1 4255
3 Characters Who Deserve Solo Movies & Can ‘Still’ Save the DCEU https://rifatahmed.com/3-characters-who-deserve-solo-movies-can-still-save-the-dceu/ https://rifatahmed.com/3-characters-who-deserve-solo-movies-can-still-save-the-dceu/#respond Fri, 04 Feb 2022 04:34:33 +0000 https://rifatahmed.com/?p=2704 DC and Warner Brothers decided to pull the plug on SnyderVerse after the poor reception of Justice League in 2017. Maybe even before that, since the theatrical cut of Justice League was barely Snyder’s vision. Thanks to the release of Zack Snyder’s Justice League, more commonly known as the Snyder Cut, we now know for sure that the original plan for JL paved the way for sequels where Wheadon’s theatrical cut left no room for further continuation. This forced fans and critics to think SnyderVerse is about to be a history. Even though ‘Restore The SnyderVerse’ is all the rage now, the future of SnyderVerse and DC movies, in general, has never been more uncertain.

But there is one thing both fans and execs at WB are certain about—DC movies are best when they are focused on solo characters. The success of Wonder Woman, Aquaman, Joker, Wonder Woman 1984 and Man of Steel grounds the fact.

So maybe, just maybe, DC is better off doing standalone movies instead of connecting underdeveloped characters in an action mashup. In that hope, here are three DC characters who deserve live-action adaptations that can still save the DC Extended Universe or whatever you want to call today’s complicated DC movie lineup.

 

 

Red Hood - DC Comics
Red Hood – DC Comics

Red Hood — The Bat Protégé That Kills

Despite being in comics for decades, Jason Todd, the second Robin to Gotham’s caped crusader, has only gotten his fair share of popularity in recent years with his second alter-ego Red Hood. The animated Batman: Under the Red Hood movie and recent storylines on DC boards have caused a stir among the fans. After hating his Robin persona for years, Fans are loving Jason Todd as the antihero Red Hood who doesn’t hesitate to cross the boundaries set by Batman.

The second boy of wonder took on the mantle of Red Hood after Dark Knight’s archenemy Joker beat him to death and Ra’s Al Ghul brought him back to life using DC’s reincarnating Lazarus Pitt. Ironically, the name Red Hood was Joker’s alter ego before he fell into the vat of chemicals, only to rise as a pale-skinned psychopath.

It’s only logical for Jason to take up his killer’s alter ego as he seeks vengeance for his death. As explored in comics and 2010’s Batman: Under the Red Hood movie, his attempts to get revenge are walled by the Batman himself. And as for the live-action adaptation, who wouldn’t want to see Batman fight it out with his ward in an attempt to stop him from breaking the one rule, no killing.

Even though, a solo Red Hood movie in Robert Pattinson’s universe would not fit as this version of Batman is only in his second year of crime-fighting justice, it’ll definitely work with Ben Affleck’s Batman perfectly as fans have been wondering what happened to the Robin whose suit was seen in Affleck’s Bat Cave. Even though Joker confirmed killing the boy of wonder in a mid-credit scene of Snyder Cut, it’s arguably an alternate future or earth. So, we are yet to know what happened to Jason Todd and how. And again. Batman vs. his protégé, who wouldn’t buy a ticket for that?

It fits DC’s dark tone and people love Red Hood. So, a solo Red Hood is a win-win for both the studio and fans.

 

 

Booster Gold - DC Comics
Booster Gold – DC Comics

Booster Gold — The Hero From The Future

If there’s one thing DC movies are accused of, it’s their incompetence in producing light-toned movies with humorous characters. Both fans and critics are waiting for a DC movie that is comparable to Fox, Sony and Marvel’s Deadpool, Spider-Man Homecoming, Ant-Man or even Thor Ragnarok. Even though DC took a crack at it with Suicide Squad and The Suicide Squad movies, it hardly sat well with fans and critics, grounding their incompetence theory even more. Well, a solo Booster Gold movie might be the perfect opportunity to prove everyone wrong.

A pseudo hero from the future comes to present days and uses his knowledge of history and 25th-century technology to save the day, all the while cracking jokes and getting into everyone’s nerves – a perfectly charming yet annoying character to put in a light-hearted story that takes a joke-cracking, fanboying hero poser and turns him into a true hero. If you are already a fan of Justice League and Justice League Unlimited animated series from the early 2000s, you know what I’m talking about.

After the somewhat questionable reception of 2017’s Justice League, maybe a solo movie that doesn’t take itself seriously is what DC needs to bring back people’s faith in their films.

Although, just as I am writing this, the CWverse show DC’s Legends of Tomorrow has announced a secret character for season 7 finale which sounds an awful lot like Booster Gold from the character description. So, it’s almost certain we’re getting a Booster Gold on our screens.

 

 

Spectre - DC Comics
Spectre – DC Comics

Spectre — The Wrath of God

DC’s New Gods movie got shelved and fans are disappointed, especially DC fans who would love to brag their New Gods movie ‘would have been better’ than Marvel’s The Eternals movie released last year. Even though we are not seeing new gods Orion, Metron, Highfather and others from New Genesis anytime soon, the list of cosmic entities in DC is not limited to new gods of the Fourth World. From 5th Dimensional imps to Biblical characters and actual Gods, DC has a rich list of cosmic-superpowered individuals. So, a solo movie with any of these characters is a good chance for DC to show how good they are in handling cosmic stories. And who better to star than the actual wrath of God, the Spectre.

Spectre, the literal embodiment of almighty’s wrath, had many hosts over the years. Among them, Jim Corrigan is undoubtedly the most popular and ‘just’ to the puny humans who did wrong by others. Portraying him as the all-powerful judge could be the perfect opportunity that DC and Warner Bros. need to keep loyal DC fans happy after they almost butchered the character in Arrowverse’s Crisis on Infinite Earths crossover event.

DC is yet to do any movie of cosmic scale, and a solo Spectre movie might open the door for other cosmic beings to appear in their future films. Since their grounded movies like Suicide Squad and Batman vs. Superman are not doing great, maybe multiversal cosmic stories are the way to go ahead. Maybe, just maybe, DC will be known for producing amazing live-action cosmic scripts that satisfy fans and critics alike.

]]>
https://rifatahmed.com/3-characters-who-deserve-solo-movies-can-still-save-the-dceu/feed/ 0 2704
শনির চাঁদ টাইটানেই নতুন জীবনের সূচনা https://rifatahmed.com/%e0%a6%b6%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%a6-%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%87-%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%82%e0%a6%9a%e0%a6%a8%e0%a6%be/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%b6%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%a6-%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%87-%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%82%e0%a6%9a%e0%a6%a8%e0%a6%be/#respond Mon, 17 Jan 2022 20:00:13 +0000 https://rifatahmed.com/?p=2287 টাইটান, শনির সবচেয়ে বৃহৎ চাঁদটিতেই হতে পারে নতুন জীবনের সূচনা – এমনটাই ধারণা করে আসছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে।

আমাদের সৌরজগতে একমাত্র টাইটানেই আছে পৃথিবীর মতো সমুদ্রতুল্য বিশাল পানির স্তর ও জৈব হাইড্রোকার্বন। কিন্তু এই হাইড্রোকার্বন আর পানির স্তরের মধ্যে আছে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পুরু একটি বরফের স্তর। এজন্যই এতদিন টাইটানে প্রাণের সঞ্চার নিয়ে কিছুটা সন্দিহান ছিল সায়েন্টিফিক কমিউনিটি।

কিন্তু নতুন এক গবেষনায় ধারণা করা হচ্ছে যে প্রায় এক বিলিয়ন বছর আগে উল্কাপিণ্ড বা গ্রহাণুপুঞ্জ ধেয়ে এসেছিল টাইটানের বুকে যা শত কিলোমিটার পুরু বরফের স্তর ভেঙ্গে পানির স্তরকে নিয়ে আসে পৃষ্ঠতলে। উপড়ে উঠে আসা এই পানির স্তরের সংস্পর্শে আসে জৈব হাইড্রোকার্বন এবং এই দুই স্তরের মিশ্রণ-ই ইঙ্গিত দিচ্ছে নতুন প্রাণের সূচনার।

 

 

Menrva Crater in Titan by NASA
Menrva Crater in Titan by NASA

 

ইউনিভার্সিটি অফ প্যারিসের টাইটান বিশেষজ্ঞ এবং গ্রহ বিজ্ঞানী লে বনেফয়ের মতে পৃষ্টতলে উঠে আসা এই উষ্ণ পানি এবং এর সংস্পর্শে আসা হাইড্রোকার্বন প্রাণের সঞ্চারণের জন্য উপযুক্ত অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে।

এমনটাই হয়েছে বলে ধারণা করছেন আরো অনেক বিশেষজ্ঞ। তাদের মধ্যে একজন হলেন ক্রোস্তা।  ইউনিভার্সিটি অফ ক্যাম্পিনাসের ভূবিজ্ঞানী আল্ভারো পেন্তিয়াদো ক্রোস্তা ও তার সহযোগী দল টাইটানে ১ বিলিয়ন বছর আগে ঘটে যাওয়া গ্রহাণুপুঞ্জের আঘাতের একটি মডেল তৈরি করেন এবং উপস্থাপন করেন এবছর মার্চে ৫২তম লুনার এন্ড প্লানেটারি সায়েন্স কনফারেন্সে। সেই মডেল অনুযায়ী প্রায় এক বিলিয়ন বছর আগে যেই গ্রহাণু আঘাত হানে শনির চাঁদে, তা থেকে নির্গত তাপ নিঃসন্দে টাইটানের পুরু বরফ স্তর ভেদ করতে সম্ভব। পেন্তিয়াদো ক্রোস্তার মতে হয়তো এক বিলিয়ন বছর আগেই সেই উষ্ণ পানিতে জন্ম নিয়েছিল আদি কোষীয় ব্যাক্টেরিয়া যা এখনো থেকে যেতে পারে বরফ হয়ে জমে যাওয়া সেই পানির মধ্যে।

টাইটানের সর্ববৃহৎ ৪২৫ কিলোমিটার চওড়া মেনরভা নামক এই খাদটি ছাড়াও শনির এই চাঁদে রয়েছে আরো অনেক ছোটো ছোটো গর্ত যার যেকোনো একটি একই কারনে হতে পারে নতুন প্রাণের সূচনা স্থান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সেল্ক। অনেকের মতে বরফে জমে থাকা ফসিলাইজড ব্যাক্টেরিয়া পাওয়ার সম্ভাবনা মিনারভা থেকে সেল্কে বেশি কেননা সেল্কে গ্রহাণুপুঞ্জের আঘাত অপেক্ষাকৃত নতুন।

 

 

যদিও গবেষক দলটি এ বিষয়ে আশাবাদি, শতভাগ নিচ্ছিত হতে দলটিকে অপেক্ষা করতে হবে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত যখন ২০২৭-এ ছেড়ে আসা নাসার ড্রাগনফ্লাই মিশনের ড্রোনটি গিয়ে পৌঁছাবে টাইটানের গাঁয়ে ৯০ কিলোমিটার চওড়া খাদ সেল্কে।

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%b6%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%a6-%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%87-%e0%a6%a8%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%82%e0%a6%9a%e0%a6%a8%e0%a6%be/feed/ 0 2287
ব্যাচেলর বাসায় কেন থাকবো? — মেসে এক চামচ কাহিনী https://rifatahmed.com/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a7%8b-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%9a-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%80/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a7%8b-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%9a-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%80/#respond Tue, 10 Aug 2021 17:48:00 +0000 করোনার দ্বিতীয় দফার ছুটির পর যখন বাড়ি থেকে চট্টগ্রামে ফ্ল্যাটে আসলাম তখন ৪ টা চা চামচ ও ৪ টা কাটা চামচ (ফর্ক) কিনে আনছিলাম বাজার থেকে।

একসাথে একটা চা চামচ ও একটা ফর্ক-এর বেশি বের করে রাখতাম না। টার্গেট ছিল এই ব্যাচেলর জীবনের বাকি দু-তিন বছর এগুলো দিয়ে কাটিয়ে দিবো। আমি ছাড়াও আমার ফ্লাটের বাকিরাও চা চামচ, স্যুপের চামচ, কাটা চামচ কিনে রান্না ঘরে রাখতো।

কিন্তু আপদ হলো কয়েকদিন পর পর সব চামচ গায়েব হয়ে যেত রান্না ঘর থেকে। অনেকক্ষেত্রে রান্নাঘর তন্নতন্ন করে খুজলে হয়তো পাওয়া যেত। কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই সেটা রান্না ঘর থেকে হাওয়ায় মিলে যেত।

একটা একটা করে কমতে থাকতো আর আমি আমার স্টক থেকে নতুন একটা একটা করে বের করে ইউজ করতাম। একটু হিসেব করে দেখলাম, ২০২১ সালে দুই বারে মোট ১৪ টা চামচ কিনেছিলাম নিজের ব্যবহারের জন্য। কিন্তু জুন আসার আগেই সব গায়েব হয়ে গেল রান্না ঘর থেকে। শুধু আমার না, ফ্ল্যাটের অন্যরা যারা রান্না ঘরে রাখতো, সেগুলোও কমতে থাকলো।

 

 

আমার সব কয়টা চামচ গায়েব হয়ে যাওয়ার পরে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম এই ব্যাচেলার জীবনে আর চামচ কিনবো না। আমি যেদিন এই প্রতিজ্ঞা করি, সেইদিন রান্না ঘরে মাত্র একটা টেবিল চামচ ছিল যেটা কম বেশি সবাই ব্যবহার করা শুরু করলো।  চামচ হারাতে হারাতে বিরক্ত। তাই এখন আর কেউ নতুন চামচ কিনে না।

এই চামচটা কার সেটাও আমার জানা নেই।

কিন্তু আসমান ও জমিনের কসম – আটলান্টিক মহাসাগরের কসম – অস্ট্রেলিয়ার চার্টার্ড ফ্লাইটের কসম। আজ প্রায় ২-৩ মাস ধরে এই লাস্ট চামচ টা যেখানে রাখা থাকে সেখান থেকে একচুল ও নড়ে নাই। সবাই যে যার মতো ইউজ করে রেখে দেয়। কেমনে জানি আবার জায়গা মতো চলে আসে চামচটা। আজ পর্যন্ত একবারও এমন হয় নাই যে চামচ খুজতে গিয়ে রান্না ঘরে পায় নাই। এই চামচ হারায় না, অধোয়া থাকে না, কোনো সময় অকুপাইডও থাকে না। যেকোনো সময় রান্না ঘরে গেলেই পাওয়া যায় ওটারে।

 

 

হাইজিন-ফাইজিন সব ভুলে কমদামী ব্রোথলের প্রস্টিটিউটের মতো গনহারে ব্যবহার হয় এই চামচটা আমাদের ফ্ল্যাটে। তারপরেও জায়গা থেকে নড়ে না। হারায় না। গায়েব হয় না।

মাঝে মাঝে মনে হয় এই চামচটার অতিপ্রাকৃত কোনো শক্তি আছে।

মনে হয় এই পৃথিবী থেকে আমরা সবাই চলে যাওয়ার বহু বছর পড়েও এই চামচটা দিব্যি জায়গা মতো ঘাপ্টি মেরে বসে থাকবে কারো চায়ের কাপে চিনি মিশিয়ে দেয়ার জন্য।

 

এরকম অলৌকিক চামচের দর্শন পাওয়ার জন্য হলেও জীবনে সবার অন্তত একবার ব্যাচেলর বাসায় থাকা জরুরি।

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%9a%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a7%8b-%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%9a-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%80/feed/ 0 711 23.684994 90.356331 23.684994 90.356331
I Just Made A “Bad” Investment & I’m Not Worried https://rifatahmed.com/i-just-made-a-bad-investment-im-not-worried/ https://rifatahmed.com/i-just-made-a-bad-investment-im-not-worried/#respond Thu, 20 Feb 2020 11:00:38 +0000 https://rifatahmed.com/?p=3287 Business is the most profitable & risky source of income — not breaking news, I’m sure.

 

Everyone notices when I make big bucks from Deftyled, my company or agency, or whatever you want to call it. They call me Dollar Rifat or World Bank Rifat or some other cheesy names to mock me or pamper or butter me or whatever they think they are doing.

 

But no one takes bad investments or losses into account, let alone the effort I put into my business. A well-calculated investment of my company went wrong today, and I lost a significant amount. It hurts like hell to lose your investment, but you know what, it doesn’t matter because this company made a hundred times more profit than the occasional losses, and it will continue to do so.

So, every to-be-entrepreneur out there, take it from an insignificant yet experienced solopreneur, don’t lose hope just because you are occasionally misstepping. Your profits will turn out to be greater than your “bad investments”. You just need to ensure client satisfaction. That’s all that matters.

 

I don’t actually love the term “loss”.

 

I use “bad investments” more often because it still gives you something — experience, instead of profit, which you wanted. So, losses are still investments, just not “good”.

By the way, if anyone knows how to cheer a guy who just made a “bad investment”, you are welcome to try.

And I’m sorry if it feels like I am rambling, I just took a prescribed sleeping pill, and it’s kicking in. This rambling could be a side effect…

]]>
https://rifatahmed.com/i-just-made-a-bad-investment-im-not-worried/feed/ 0 3287
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা কি? https://rifatahmed.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a6%9a%e0%a7%87%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%a1%e0%a6%bc-%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a7%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%bf/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a6%9a%e0%a7%87%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%a1%e0%a6%bc-%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a7%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%bf/#comments Mon, 01 Jul 2019 10:02:00 +0000 অনেকে মনে করেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনি একরকম সরকারি খরচে পড়ছেন বা সরকার উল্টো আপনার পিছনে খরচ করছে – এজন্যই হয়তোবা সবার ঝোক পাবলিকের দিকে বেশি। এজন্যই হয়তোবা মুরব্বিরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির তাগিদ দেন।
ধারনাটা ঠিক না। আমি বলছি কেন সবাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চায়। তার আগে আমার সাথে হওয়া ছোটো তিনটা ঘটনা বলে নেই, তাহলে আমার পয়েন্টটা বুঝতে সুবিধা হবে।

 

ঘটনা ১ঃ

গত বছরের কথা। ঢাকায় আব্বুর একটা প্রয়োজনে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে দেখা করতে যাই।
সরকারি ব্যাংক, ব্যবহার কেমন সেটা আমার আগে থেকেই ধারনা ছিল। তাই এক্সপেকটেশনও কম ছিল।
বয়োজ্যেষ্ঠ ম্যানেজারের চেম্বারে গিয়ে বসলাম। অন্য সবার সাথে যেমন ব্যাবহার হয় ঠিক সেরকমই চলছিল।
কোনোরকম কথা সংক্ষিপ্ত করে শেষ করতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু কথা প্রসঙ্গে উনি জিজ্ঞেস করে বসলেন আমি কোথায় পড়াশুনা করি।
আমি বললাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গনিত বিভাগে আছি।
ব্যস, শুরু হলো খোশ গল্প। জানতে পারলাম উনিও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির সাবেক ছাত্র।
যে ব্যাক্তি এতক্ষণ আমার কথায় একজন সরকারি কর্মকর্তার মতো কোনো ইন্টারেস্ট দেখাচ্ছিলেন না, সে হঠাত আমার সাথে তার কেবিনে বসে চা খাচ্ছেন আর ভার্সিটির কথা স্মরণ করছেন। এর পর থেকে কোনো কাজে তাকে কল করলেও সে কল কেটে নিজে কল করে জিজ্ঞেস করেন “আঙ্কেল কেমন আছেন?”

 

ঘটনা ২ঃ

ভার্সিটিতে তখন নতুন ভর্তি হয়েছি। ঢাকায় এসেছিলাম ছুটিতে। একটা কাজে জাতীয় শিক্ষাবোর্ডে গেলাম পরের দিন। সরকারি অফিসে যেরকম পরিবেশ, তেমনই ছিল ভিতরটা।
একজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলার সুযোগ পেলাম। কিন্তু কথায় কোনো কাজ হচ্ছিল না। সে আমাকে কোনো রকম ইনফরমেশন দিচ্ছিল না।
কেনই বা দিবে, এতে তার কি লাভ? তার উপর উনার টেবিলে ১০১ টা ফাইল। ফাইলের প্রেশারে আছে বুঝতে পারছিলাম।
কথা প্রসঙ্গে বললাম কাজটা আমার তাড়াতাড়ি শেষ করা লাগবে, পরশু দিনই চট্টগ্রাম চলে যাবো।
তার প্রশ্নের উত্তরে আমার পরিচয় দিলাম। বললাম ভার্সিটিতে ক্লাস শুরু হবে শীঘ্রই।
ব্যাস, ফাইল রেখে শুরু করলেন গল্প। আমার কাজটা কিভাবে করতে হবে সেটা তো বলে দিলেনই, আরো লাঞ্চ করে যাওয়ার জোর করলেন।

 

ঘটনা ৩ঃ

গতকাল ভাটিয়ারি থেকে খুব টায়ার্ড হয়ে বাসায় আসছিলাম।
রাস্তায় ডাচ বাংলা ব্যাংক দেখে রিক্সা থেকে নেমে গেলাম। বাই মেইল একটা কার্ড এসেছিল সেটা এক্টিভেট করতে চেয়েছিলাম।
অর্থ বছরের শেষ দিন বলে ব্যাংকে সবাই একটু বেশি বিজি ছিলেন।
আমাকে কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে হলো। একটু পড় ডাক পেলাম। কিন্তু সমস্যা হলো আমার একাউন্ট ঢাকায় আর আমি এক্টিভেট করতে আসছি চট্টগ্রামের এক শাখায়। তার উপর আমার ছবির সাথে চেহারার কোনো মিল নেই। ব্যাংক একাউন্ট সম্ভবত ৫-৬ বছর আগে করা হয়েছিল তাই ছবির সাথে তেমন কোনো মিল নাই। এতদিন একাউন্টের কোনো সমস্যার জন্য ব্যাংকে আসা লাগে নাই বলে ছবি আপডেট করা হয় নি, সব সমস্যা সাপোর্টে মেইল করেই সল্ভ পেতাম।
যেহেতু ছবি মিলছে না তাই ভদ্রমহিলা কার্ডটা এক্টিভ করে দিবেন না। বললেন, ঢাকায় গিয়ে নিজ ব্রাঞ্চে গিয়ে এক্টিভ করতে হবে ও ছবি আপডেট করতে হবে।
এটা আমার প্রাইমারি একাউন্ট, বেশিরভাগ লেনদেন এই একাউন্ট দিয়েই করি। তাই কার্ডটা এক্টিভ না হলে সমস্যায় পড়ে যাবো – এটা চিন্তা করতে করতে চলে আসবো ঠিক এসময় কথায় কথায় উঠে আসলো আমার পরিচয়।
ব্যাস্, ম্যাম শুরু করলেন ডিপার্টমেন্টের কথা। উনিও আমার ডিপার্টমেন্টের। জিজ্ঞেস করলেন স্যারদের কথা, জ্যাক স্যার এখনো আছে কিনা, নিল রতন স্যার কোন সাবজেক্ট নেয় ইত্যাদি ইত্যাদি।
শেষমেষ আমার কাজটা উনি নিজেই করে দিলেন।

 

এই পরিচয়টাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবিধা এবং আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠরা এজন্যই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি এতটা দুর্বল। আমার সাথে যেরকম ঘটনাগুলো হয়েছে, তারাও সেগুলো দেখেছেন। গতকাল ব্যাংকে আমার পাশে থাকা যে ব্যবসায়ী লোকটা বসেছিলেন, সেও হয়তোবা চিন্তা করেছেন আজ সে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হয়তো সামান্য একটা চেকবুক কালেক্ট করার জন্য তাকে হয়তো এতটা হেনস্তা হতে হতো না
সরকারি অফিস ও ব্যাংক থেকে বেসরকারি অফিস ও ব্যাংকে এমন আরো অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে গত দুই বছরে আমার সাথে যা লিখে শেষ করতে পারবো না।
তাই আমার মতে আবাসিক হল সুবিধা, ২০ টাকায় ভার্সিটিতে লাঞ্চ/ডিনার, সরকারি খরচে পড়া, ভালো টিউশনি পাওয়া – এগুলার চেয়ে ভার্সিটির এলামনাইদের খাতির ও সৌহার্দপূর্ণ আচরণ পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা বলে মনে হয়।

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a6%9a%e0%a7%87%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%a1%e0%a6%bc-%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a7%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a6%bf/feed/ 2 720