Rifat Ahmed | রিফাত আহমেদ https://rifatahmed.com Writer | Mathematician | Marketer | Designer | Developer | Content Creator Sat, 21 Sep 2024 05:40:45 +0000 en-US hourly 1 201162801 Rifat Ahmed | রিফাত আহমেদ Writer | Mathematician | Marketer | Designer | Developer | Content Creator false Heading supersonic, aiming hypersonic https://rifatahmed.com/heading-supersonic-aiming-hypersonic/ https://rifatahmed.com/heading-supersonic-aiming-hypersonic/#respond Sat, 21 Sep 2024 04:38:09 +0000 https://rifatahmed.com/?p=8996 A new hypersonic propulsion engine promises to cut down a 20-hour flight to just 50 minutes at an astounding Mach 16 speed. Read my thoughts on the trajectory of hypersonic air travel and the imminent shift from subsonic to supersonic in commercial aviation in today’s newspaper, or read it online on The Business Standard portal.

Heading supersonic, aiming hypersonic

 

Read it online on TBSNews.net

 

 

\

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Rifat Ahmed (@rifat5670)

 

Post by @rifat5670
View on Threads

 

https://www.tumblr.com/rifat5670/762205184481984512/heading-supersonic-aiming-hypersonic-rifat

]]>
https://rifatahmed.com/heading-supersonic-aiming-hypersonic/feed/ 0 8996
হাসিনা এবং শিক্ষক ‘পদচ্যুতির’ সমান্তরাল https://rifatahmed.com/%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%82-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%95-%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b2/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%82-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%95-%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b2/#respond Fri, 30 Aug 2024 10:46:58 +0000 https://rifatahmed.com/?p=8972 গুটি কয়েক শিক্ষকদের পদত্যাগ করার বিষয়টা দূর থেকে খুব হৃদয়বিদারক মনে হলেও শুধুমাত্র ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই তাদের আসল রূপটা চেনে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় মায়া জড়ানো মিউজিক দেয়া ভিডিও দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। ছোট্ট করে বলতে হলে, ভারত হবেন না।

ভারতের মিডিয়াও কিন্তু শেখ হাসিনা পালানোর পর বাংলাদেশকে নিয়ে আফসোস করতে শুরু করেছিলো। তারা আমাদেরকে এক অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে প্রচার করছিলো। তারা বোঝাতে চাচ্ছিল যে আমরা এমন এক জাতি যারা শেখ হাসিনার আমলে হওয়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন ভুলে অকৃতজ্ঞের মতো আচরণ করছি। কিন্তু শেখ হাসিনা এবং তার ফ্যাসিবাদি আচরণ শুধু আমরা বাংলাদেশিরাই জানি। আমরাই জানি প্রতিটি মেগা প্রজেক্টের বাহানায় কত মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার লুট করেছিলো ক্ষমতাসীনরা। শুধু এক রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প থেকেই শেখ হাসিনা এবং তার পরিবার ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেছে, যা আমরা নিজেরাই জানতে পেরেছি কিছুদিন হলো। তাছাড়া তার আমলে দেশ থেকে পাচার-ই হয়ে গেছে ১৫০ বিলিয়ন ডলার। এসবের উপর আবার গুম, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি আর কয়েক হাজার খুনের অপরাধ তো আছেই।

বাইরের দেশের কাছে হয়তো শুধু তার আমলের মেগা প্রজেক্টের খবর গুলোই পৌঁছেছে। এজন্যই ভারতীয়রা হয়তো হাসিনার প্রতি এত দরদ দেখাচ্ছিলো। তারা হয়তো জানে না হাসিনা এবং তার সরকারের প্রকৃত রূপ। তার এই প্রকৃত চেহারা কেবলমাত্র আমরা বাংলাদেশিরাই জানি। তাই এই বিষয়ে ভারতের মন্তব্যের কোনো দামই নেই। শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও ঘটনাটা এমন-ই।

আপনার আমার কাছে হয়তো সে একজন সমাজের সম্মানিত শিক্ষক। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে হয়তো সে একজন চরিত্রহীন লম্পট যে মেয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। অথবা সে হয়তো শিক্ষকতা পেশার আড়ালে কোচিং ব্যবসা চালায় যেখানে না পড়লে তার সাবজেক্টে পাশ করা যায় না। অথবা সে হয়তো এক দুর্নীতিবাজ প্রিন্সিপাল যে বছরের পর বছর টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন অযোগ্য নিয়োগ দিয়েগেছেন। অথবা সেই শিক্ষক হয়তো পালিয়ে যাওয়া আওয়ামীলীগেরই দালাল যে তার ছাত্রদের হুমকি দিয়ে গণঅভ্যুত্থান নস্যাৎ করতে চেয়েছিলো।

এগুলো আমরা বাইরের থেকে জানবো না। জানার কথাও না। এগুলো জানবে সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা কেননা কেবল তারাই নিজেদের সাথে হয়ে যাওয়া এইসব অন্যায় অবিচার হতে দেখেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, বিনা কারনেই এতগুলো শিক্ষার্থী মিলে তাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করছে না। সেই কারন হয়তো আমরা যারা আমজনতা আছি, জানি না। তবে কারন নিশ্চয়ই আছে।

প্রশ্ন করতেই পারেন তাহলে কেনো তাদেরকে বিচারের আওয়াতায় আনা হলো না? কেন শিক্ষার্থীরা নিজেরা তাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করছে? আপনাদের কাছে তাহলে আমার উল্টো প্রশ্ন। শিক্ষার্থীদের কেন তাহলে হাসিনাকে জোরপূর্বক উৎখাত করতে হলো? কেন আইনের মাধ্যমে বা আদালতের মাধ্যমে তাকে অপসারন করা গেলো না?

কারন, দেশে সঠিক বিচার ব্যবস্থাই নাই। গত দেড় দশকে দেশের বিচার ব্যবস্থা পচে গেছে। যার টাকা আছে, ক্ষমতা আছে, বিচার ব্যবস্থা তার সাফাই গেয়েছে। বিত্তবান বা ক্ষমতাবান কিংবা ক্ষমতাসীনদের দোসর — কারোর-ই বিচার হয়নি। তাই এই মুহূর্তে দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা না থাকাটাই স্বাভাবিক।

তাছাড়া শিক্ষকতার পদ থেকে যে অপসারণ করা হচ্ছে, সেটা কিন্তু গণহারেও হচ্ছে না। এমনকি সব প্রতিষ্ঠানেও হচ্ছে না। গুটিকয়েক যেসব প্রতিষ্ঠানে হচ্ছে, সেখানেও এক-দুজন যারা হয় ইভটিজার ছিল, চরিত্রহীন ছিল, কোচিং ব্যবসা করতো, স্কুলের ফান্ড মেরে খেতো অথবা ফ্যাসিবাদের চাটুকার ছিল। এতগুলো শিক্ষার্থীরা মিলে যখন একজনের পদত্যাগ চাইছেন, তখন সেখানে কোনো না কোনো কারন তো অবশ্যই আছে। এই কারনগুলো বা ঘটনাগুলো হয়তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গন্ডির বাইরে আসে নাই, বা আসার সুযোগও ছিল না।

তাই দেশ থেকে ছাত্ররা যেভাবে দুর্নীতিবাজ, ফ্যাসিবাদ সরকারকে অপসরন করেছে, শিক্ষার্থীদের তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও সেই আগাছাগুলোকে সাফ করতে দিন। তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থা তারা নিজেরাই জানে। তারা নিজেরা যেহেতু দেশ শুধরেছে, তাদেরকে নিজেদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ও শুধরে নিতে দিন।

তবে এসব পদত্যাগের মধ্যে দু-একজন ভালো শিক্ষক কোনো কারনে জড়িয়ে যেতে পারে; এতে সন্দেহ নেই। তবে ১০০ জনের মধ্যে এরকম ১-২ জনের কারনে বাকি ৯৮ জন অসাধু শিক্ষকের অপসারনকে কলুষিত হতে দেবেন না।

কোনো শিক্ষক যদি বিনা কারনে অপসারণ হয়, তা খতিয়ে দেখতে হবে।

কে দেখবে সেটা? আপনি-আমি?

না, আমরা তাদের প্রকৃত চরিত্র সম্পর্কে কিছুই জানি না। তাই না জেনে শুনে আমাদের এই বিষয়ে নাক গলানো উচিত হবে না।

তাহলে কি দেশের বিচার বিভাগ?

হয়তো বা। তবে গত দেড় দশকে বিচার ব্যবস্থার উপর জনগনের যে আস্থা উঠে গেছে সেটা পুন:স্থাপিত হতে সময় লাগবে।

তাহলে কে বা কারা এই মজলুম শিক্ষকদের এই বিষয়টা দেখবে?

আমার ব্যক্তিগত মতে, এই বিষয়টি ঐ স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে ভালোভাবে বুঝে একটা সমাধান করতে পারবে। সাবেক শিক্ষার্থীরা, যারা ঐ শিক্ষকের কাছ থেকে পাঠদান গ্রহণ করেছেন, তারা কিছুটা হলেও তার সম্পর্কে জেনে থাকবেন। বাকিটা না হয় স্কুলের বর্তমান শিক্ষার্থী বা শিক্ষকদের থেকে শুনে নিলেন। এরপর চাকরিচ্যুত শিক্ষকের পক্ষ শুনে সব কিছু মিলিয়ে একটা তদন্ত করা যাবে। এই প্রক্রিয়ায় হয়তো সব সত্য উঠে আসবে।

যদি এই অপসরণকৃত শিক্ষকদের কেউ আসলেই ভুল ক্রমে এই অপসারনের শিকার হয়ে থাকে এবং সেটা যদি তথ্য উপাত্ত দ্বারা বিচার বিভাগে বা অ্যালামনাইদের কাছে প্রমাণিত হয়, তাহলে শুধু সেই শিক্ষককে চাকরী ফিরিয়ে দেয়াই উচিত হবে না, সাথে সমস্ত স্কুলের শিক্ষার্থী এবং স্টাফদের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া পূর্বক তাতে সসম্মানে স্কুলে ফিরিয়ে নিতে হবে। শুধু তাই নয়, চাকরিচ্যুত থাকা সময়ের বেতনও তাকে সসম্মানে বুঝিয়ে দিতে হবে।

শিক্ষকদের প্রতি ব্যক্তিগতভাবে আমার সম্মানের কোনো কমতি নেই। এখনও যদি কোনো স্যারের সামনে পড়ে যাই , দু-হাত অটোমেটিক পিছে গিয়ে কাঁচুমাচু হয়ে যায়, চোখ সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে। তবে আমার সৌভাগ্যও বটে যে আমি দেশের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানগুলোতে থেকে পড়াশুনা করার সুযোগ পেয়েছি। সেই ছোটো বেলা থেকেই শিক্ষকদের বিষয়ে নিজেকে খুবই লাকি মনে করি। কড়া অনেক শিক্ষক পেয়েছি, তবে চরিত্রহীন বা ম্যোরালি করাপ্টেড একজনও না। এজন্যই হয়তো আমার স্কুল এবং কলেজ থেকে এখনও কাউকে অপসারন করার মতো লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেনি। এই দিকে থেকে নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে করি। তবে মফস্বল এলাকায় বা গ্রামের দিকে শিক্ষার্থীরা হয়তো আমার মতো সৌভাগ্যবান নয়, যার কারনে এসব অপসারণের ঘটনা ঢাকার বাইরেই বেশি হচ্ছে।

তবে ঠিক এখন-ই মায়া ভরা মিউজিক দেয়া ভিডিও দেখে অপসরণকৃত শিক্ষকদের জন্য সাফাই গাওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, একজন সৎ এবং নিষ্ঠাবান শিক্ষকদের সাথে ছাত্ররা এরকম আচরণ করতে পারে না। তাই যাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে, তাদের মায়া কান্না বা ভিডিও দেখে দেশব্যাপি এই আগাছা দমনকে কলুষিত করা যাবে না। মায়া কান্না কিন্তু আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রীও ভালোই জানতেন। তাই এসব ভিডিও দেখে গলে গেলে হবে না। শিক্ষার্থীরা যেভাবে দেশ থেকে আগাছা সরিয়ে নতুন এক বাংলাদেশের গড়ে তোলার প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছে, সেই সুযোগটুকু তাদেরকে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও দিতে হবে।

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%82-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%95-%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b2/feed/ 0 8972
আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ আর আন্দোলনের পর সংখ্যালঘু https://rifatahmed.com/%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%86%e0%a6%93%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97-%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%96%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%98%e0%a7%81/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%86%e0%a6%93%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97-%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%96%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%98%e0%a7%81/#respond Mon, 12 Aug 2024 03:21:46 +0000 https://rifatahmed.com/?p=8958 আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ আর আন্দোলনের পর সংখ্যালঘু।

আন্দোলন যখন তীব্র, দেশে যখন ছাত্ররা মরতে শুরু করেছে, তখনই বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ আন্দোলন কারীদের “নব্য রাজাকার”, “রাষ্ট্র দ্রোহী” বলে আখ্যায়িত করে এবং এটাও দাবী করে যে আন্দোলনেরকারীরা যেন কোনো সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে চাকরি না পায়। আমার বানানো কথা না। প্রথম আলোতে সরাসরি তাদের বিবৃতির সোর্সঃ https://www.prothomalo.com/bangladesh/y9665rk2se

 

এমনকি অনেকে এক্টিভলি ছাত্রদের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছে। সবাই না, একটা অংশবিশেষ যারা সরকারের পদলেহন করে সুবিধা নিতে চাচ্ছিলো। আমার স্কুলের কিছু হিন্দু বন্ধুদের অনেক বেশি ভোক্যাল দেখেছি এই পুরো আন্দোলন জুড়ে। তারা প্রথম থেকেই ছাত্রদের, দেশের পক্ষে ছিল। কিন্তু এদের বাইরেও বেশ কিছু মাইনোরিটির এক্টিভিস্ট ছিল যারা পলিটিক্যালি মোটিভেটেড এবং পুরো সময়টাতেই সরকার পন্থী ছিল। এখন আন্দোলনের পরে যখন তাদের সেই অবস্থানের বিরুদ্ধে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাসা বাড়িতে ভাঙচুর শুরু হয়, ঠিক যেমনট হচ্ছিল মুসলিম আওয়ামী নেতাদের বাড়িতে, সেটাকে তারা চালিয়ে দিয়েছে সংখ্যালঘুর উপর আক্রমন হিসেবে। ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া গোষ্ঠী এখন সিম্প্যাথির জন্য সংখ্যালঘুর ট্যাগ ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। গুজব ছড়াচ্ছে গনহত্যার এবং গন ধর্ষণের।

ভারতের মিডিয়া এবং এদেশে ভারতের দালালরা খুব জোরে সোরে এগুলো নিয়ে প্রচারনা চালাচ্ছে। মাশরাফির বাড়ি পোড়ানোর ঘটনাকে লিটনের বলে চালিয়ে দেয়া, সরকার দলীয় নেতার হোটেল পোড়ানোকে মন্দির বলে চালিয়ে দেয়া, কয়েক বছর আগে খোদ ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে হওয়া এক গন ধর্ষণকে আমাদের দেশে হিন্দুদের উপর হওয়া অত্যাচার হিসেবে চালিয়ে দেয়া, আওয়ামী নেতার মৃতদেহ অরাজনৈতিক হিন্দুলোকের বলে চালিয়ে দেয়া, চোরকে আর্মিদের দেয়া শাস্তিকে দেশে হিন্দুর বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন বলে চালিয়ে দেয়া, গত পরশু গোপালগঞ্জে আর্মির গাড়ি বহর যাওয়াকে হিন্দুদের বিরুদ্ধে মিলিটারি আক্রমন বলে চালিয়ে দেয়া — এরকম আরো অসংখ্য ‘চালিয়ে দেয়া’র ঘটনা ঘটেছে বিগত কয়েকদিনে।

এই সব চালিয়ে দেয়া নিউজের মাঝে ঢাকা পড়ে গেছে গুটি কয়েক সত্য ঘটনা যেখানে আসলেই এই দাঙ্গার মাঝখানে বেশি কিছু হিন্দুদের বাসা-বাড়ি, দোকান-পাট, মন্দির ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এখানে কিছু সাম্প্রদায়িক ভাংচুরও আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের দেয়া বিবৃতিকে কেন্দ্র করে। তবে এসব ভাঙচুরের অধিকাংশই করেছে আওয়ামী লীগ। অসংখ্য ভেরিফাইড নিউজ আছে এ নিয়ে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার এবং অন্যান্য মিডিয়ায়। এগুলো তারা করেছে বহির্বিশ্বকে এটা বোঝানোর জন্য যে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার চলে যাওয়ায় কতটা অসহায় হয়ে পড়েছে। এই বিষয়টি সম্পূর্ণরুপে বুঝতে এবং আসলেই হিন্দুদের সাথে কি হচ্ছিলো সে সম্পর্কে জানতে হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রমানিকের এই রিসেন্ট ইন্টারভিউটা দেখে আসতে পারেন (২৫ঃ৩০ মিনিট থেকে ৩৩ঃ৩০):  https://youtu.be/Bn6dRfRjaR4?si=y7zLhrdi3Z3mk48y&t=1526

আর এদিকে আমাদের প্রতিবেশি ভারতে বলা হচ্ছে বাংলাদেশে হিন্দুদের গনহত্যা চলছে, মহিলাদের গন ধর্ষণ হচ্ছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এদেশে কোথাও কোনো মাইনোরিটিদের গনহত্যা চলছে না। কোথায় হিন্দুদের শত শত লাশের সারি জমছে না। এদেশে যদি কোথাও গনহত্যা হয়, তবে সেটা হয়েছে এদেশের সরকার কর্তৃক ছাত্রদের উপর। এবং পরোক্ষভাবে এই গনহত্যায় সায় দিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। আপনাদের সেই বিবৃতি প্রত্যাহার করে দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ করছি।

 

আমি হিন্দু বিদ্বেষী না, তবে ভারত বিদ্বেষী বলতেই পারেন। যেদেশে বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানানোতে পুরো দেশ আনন্দে মেতে ওঠে সেদেশ আর যাই হোক, কোনোভাবেই অসাম্প্রদায়িক বা ধর্ম সহিষ্ণু হতে পারে না। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ভারত থেকে বহুগুন এগিয়ে। মন্দির ভাঙ্গার ঘটনাগুলো শোনার পর ভারতীয়দের মতো আনন্দ উল্লাস বা বাহবা তো দূরের কথা, উল্টো দেশের সবাই উঠে পড়ে লেগেছে সেগুলো রক্ষা করতে।

যাইহোক, ভারত সরকার এখনও বাংলাদেশ ইস্যুকে নিজেদের সুবিধায় ব্যবহারের ধান্দায় আছে। এ নিয়ে বিস্তারিত জানতে এবং বাংলাদেশে হিন্দুদের কেন্দ্র করে যে ভাঙচুর তার সঠিক মাত্রা জানতে চাইলে এক ভারতীয়ের তথ্যবহুল বিশ্লেষণ দেখতে পারেনঃ https://youtu.be/Z1O1KhGkjGg?si=dEBNVXwgukIqGqmW

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%86%e0%a6%93%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%97-%e0%a6%86%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%96%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%98%e0%a7%81/feed/ 0 8958 সংস্কারের শুরু কোথায়? | মুক্তবাক | Muktobak | 11 August 2024 | Channel 24 nonadult
কুচিন্তাঃ ‘আগেরটাই ভালো ছিল’ | মানি লন্ডারিং | ঋণ | অন্তর্বর্তী সরকার | ড. ইউনূস https://rifatahmed.com/%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%83-%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%8b-%e0%a6%9b%e0%a6%bf%e0%a6%b2-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%82-%e0%a6%8b%e0%a6%a3-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%80-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a1-%e0%a6%87%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%82%e0%a6%b8/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%83-%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%8b-%e0%a6%9b%e0%a6%bf%e0%a6%b2-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%82-%e0%a6%8b%e0%a6%a3-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%80-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a1-%e0%a6%87%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%82%e0%a6%b8/#respond Fri, 09 Aug 2024 12:41:25 +0000 https://rifatahmed.com/?p=8953 যারা ‘আগেরটাই ভালো ছিল’—এই কুচিন্তার ধারে-কাছেও আছেন তাদের জন্য গতমাসে আমার পাওয়া একটা ইমেইলের অংশবিশেষ।

… We are unable to process your orders for the above-named company as we do not accept applications where one of the people in the company is currently a resident of Bangladesh. We have deemed orders from this country to be of high risk due to weak anti-money laundering regulations and/or a high risk of terrorist financing. …

আমার প্রতিষ্ঠানটি মূলত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে একটি একক মালিকানাধীন কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধনকৃত। তবে বাইরের দেশের ক্লায়েন্টদের ম্যানেজ এবং বিল-পেমেন্ট সংক্রান্ত কিছু বিষয়াদির জন্য আমি ডেফ্টাইল্ড-কে যুক্তরাজ্যে একটি শেয়ারভিত্তিক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবেও নিবন্ধন করি।

প্রতি বছর যেমন বাংলাদেশে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন এবং ভ্যাট জমা দেয়া লাগে, ইউকে-তেও ব্যবসার কর্পোরেশন ট্যাক্স দেয়ার জন্য একাউন্টস সাবমিট করতে হয়। কিন্তু যেহেতু আমি নিজে প্রতিবছর ইংল্যান্ডে গিয়ে এগুলো জমা দিয়ে আসতে পারি না, এই সব দাপ্তরিক কাজের জন্য ইউকে-এর একটি সরকারী এজেন্সির হেল্প নিতাম। এবছরও একাউন্টস জমা দেয়ার জন্য তাদের ফাইলিং সার্ভিস অর্ডার করি গত মাসে। কিন্তু আমি বাংলাদেশি হওয়ার কারনে তারা আমার কোম্পানির জন্য ট্যাক্স ফাইল রেডি করে দিবে না বলে জানায়। অর্ডার ক্যান্সেল করে রিফান্ডও দিয়ে দেয়। ইমেইলে যদিও দুটি সম্ভাব্য কারন বলে দিয়েছে তারপরও কনফার্ম হওয়ার জন্য তাদের সাপোর্টে যোগাযোগ করি। জানতে পারি যে ইউকে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী যেসব লিমিটেড কোম্পানির বোর্ডে বাংলাদেশি শেয়ার হোল্ডার আছে সেসব কোম্পানির পরিচালনা বিষয়ে কোনো হেল্প তারা করবে না। কেননা ব্রিটিশ সরকারে চোখে বাংলাদেশ মানি লন্ডারারদের অভয়ারণ্য।

গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেছে

আমাদের দেশে খরচযোগ্য রিজার্ভ কতো আছে জানেন?

মাত্র ১৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। অর্থাৎ এই মুহূর্তে ১৮ কোটি মানুষের পুরো দেশের খরচ মেটাতে যে পরিমাণ অর্থ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে মজুদ আছে তার দশ গুন দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে এক সরকারের আমলেই।

তাছাড়া আমাদের দেশের ঘাড়ে যে ১০০ বিলিয়ন ডলার ঋণ রয়েছে, তার ৮৫ শতাংশই ঋণ করা হয়েছে গত ১৫ বছরে।

এসব কিছু জানার পড়েও ইউকে সরকারকে কিভাবে দোষ দেই?

আমাদের দেশে যে পরিমাণ মানি লন্ডারিং হয়ে গেছে গত দেড় দশকে, আমার নামে যে ব্রিটিশ সরকার এতদিন তাদের দেশে ব্যবসা চালানোর জন্য মামলা দিয়ে দেয় নাই সেটাই বেশি।

প্রতিবছর সময় মতো ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেই। ৩০ জুন ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়; ১ জুলাই সকালে সবার আগে ব্যবসার লাইসেন্স রিনিউ করি। ডলার যদি খোলা মার্কেটে বিক্রি করি, ডলার প্রতি ১০-১২ টাকা বেশি বিক্রি করতে পারি। ব্যবসার লাভ, নিজের লাভ, ইমপ্লয়িদেরও একটু বেশি বেতন দিতে পারি। কিন্তু সেটা না করে দেশের কথা চিন্তা করে বছরে কয়েক লাখ টাকা এভাবেই ছেড়ে দিয়ে ব্যাংকে সব টাকা আনি। এসব কিছুর বদলে এই সরকার যাওয়ার আগে আমাকে কি দিয়ে গেছে জানেন? বহির্বিশ্বের কাছে আমার পরিচয় হিসেবে একটা ‘মানি লন্ডারার’-এর পরিচয় দিয়ে গেছে।

ছাত্রদের গনহত্যা তো দেখলেন-ই। আয়নাঘরের বাস্তবতাও সবার কাছে স্পষ্ট। চাকরিতে কি পরিমাণ দলীয় নিয়োগ হতো তার কাগজে সামনে আসতে শুরু করেছে। এত কিছু দেখার পরেও যদি ‘আগেরটা ভালো ছিল’ এরকম কুচিন্তা মাথায় আসে, মাথাটা খুলে ছাত্রদের দান করে দেন। ফুটবাল বানিয়ে খেলুক।

তবে আশার কথা হলো নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়ে গেছে। ড. ইউনূস-কে নিয়ে আমার ও এদেশের মানুষের অনেক আশা। বিশেষ করে অর্থনীতিতে। উনি দেশ পরিচালনায় কতটা সক্ষম সেটা সময়-ই প্রমাণ করে দেবে। তবে অর্থনীতি উনার প্লেয়িং গ্রাউন্ড। উনি এই বিষয়ে পণ্ডিত। তাছাড়া দেশ-বিদেশে নাম-ডাক, সম্মান, খ্যাতি — সবই আছে উনার। আশা করি উনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে ‘ঋণগ্রস্থ জাতি’, ‘চোরের দেশ’, ‘অর্থ পাচারকারী রাষ্ট্র’ এসব ট্যাগ থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে।

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%83-%e0%a6%86%e0%a6%97%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%8b-%e0%a6%9b%e0%a6%bf%e0%a6%b2-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%82-%e0%a6%8b%e0%a6%a3-%e0%a6%85%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%80-%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a1-%e0%a6%87%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%82%e0%a6%b8/feed/ 0 8953
গুজবের ভয়াবহতা — ইংল্যান্ড-ভারত-বাংলাদেশ প্রসঙ্গ https://rifatahmed.com/%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%9c%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ad%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%87%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a4-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%9c%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ad%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%87%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a4-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97/#respond Wed, 07 Aug 2024 07:39:24 +0000 https://rifatahmed.com/?p=8948 গুজবের ভয়াবহতার একটা সাম্প্রতিক উদাহরণ দেই।

আমরা যখন এদেশে স্বৈরাচার হটাতে ব্যস্ত তখন সুদূর ইংল্যান্ডে একটা ১৭ বছর বয়সের যুবক একসাথে তিনটা বাচ্চা মেয়েকে খুন করে এবং কয়েকজনকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে। সেই ছেলেটার চেহারা যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, তখন কেউ একজন ছেলেটাকে মুসলমান দাবী করে এমন কিছু মন্তব্য করে যার কারনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এন্টি-মুসলিম দাঙ্গা শুরু হয়। বিভিন্ন ইসলামিক ইন্সটিটিউটে ভাংচুর হয়। ধীরে ধীরে সেটা এন্টি-ইমিগ্রেন্ট দাঙ্গায় রূপ নেয়। মুসলমানদের বাসায় হামলার পাশাপাশি যেই সব অফিস-আদালত এবং লয়ার এজেন্সি তাদের সাহায্য করতো, তাদের উপরও হামলা হয়।

শেষমেশ যদিও প্রমাণিত হয় যে ছেলেটা ব্রিটিশ নাগরিক, নাম এক্সেল রুডাকুবানা এবং ইসলামের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নাই, ততক্ষণে ঘৃণা যা ছড়ানোর ছড়িয়েছে গেছে এবং ক্ষয়ক্ষতি যা হবার কথা হয়ে গেছে। হতাহতের সংখ্যা এখনও পুলিশ প্রকাশ করে নাই তবে কয়েকশত লোক আটক হয়েছে, আহতও হয়েছে বেশ কিছু।

বৃটেনের পুলিশ এখন এই এন্টি-মুসলিম দাঙ্গা ঠেকানোর জন্য খুব জোরে সোরে নেমে পড়েছে। এখন হয়তো পরিস্থিতি একটু ঠান্ডা আছে।

ঠিক এই কারনে গত দু-দিন ভারতীয় গনমাধ্যম নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলাম। মিস-ইনফরমেশন ছড়াতে ছড়াতে এমন এক পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে কিছু টুইট দাবী করতেছিলো আমাদের দেশে হিন্দুদের গনহত্যা চলতেছে। হাজার হাজার হিন্দুদের পুড়িয়ে তাদের লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। দেশের আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে যেই দাঙ্গা হচ্ছিলো, সেগুলোকেও হিন্দুদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছিল।

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এরকম কোনো গনহত্যাই হয় নাই হিন্দুদের বিরুদ্ধে। বেশ কিছু জায়গায় ভাঙচুর হয়েছে, জ্বালাও পোড়াও হয়েছে। সেটা যেমন আওয়ামী নেতাদের বা সাধারণ মুসলমানদের বাড়িতে হয়েছে, হিন্দুদের বাড়িতেও হয়েছে। বিশেষ করে হিন্দুদের মন্দিরগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এগুলো খুব সহজেই ঠেকানো যেত মিলিটারি ডিপ্লয় করে। তবে ভারতের সিম্প্যাথি পাওয়ার জন্য এটাই হয়তো হাসিনার শেষ চাল ছিল।

যখন পুরো দেশে অরাজকতায় নিমজ্জিত তখন দেশে কোনো বাহিনী-ই সেভাবে একটিভ ছিল না। থাকলে সবগুলো মন্দির আর হিন্দু বাড়িঘর-ব্যবসা এই সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচানো যেত।

তবে কথা হচ্ছে, কোথায় হাজার হাজার হিন্দুদের মেরে গনহত্যা চলে নি। হিন্দুদের শত শত মৃত লাশ ঝুলিয়েও রাখা হয় নি। শুধুমাত্র হিন্দুদের-ই বাড়িঘর জ্বালাও পোড়াও হয়নি। তবে ভারতে অনেকের কাছে এর উল্টো বার্তাটাই পৌছাচ্ছিল। অনেকে প্যালেস্টাইন, যেখানে প্রকৃতপক্ষে গনহত্যা চলছে, তার সাথে বাংলাদেশের তুলনা দিচ্ছিলো। এরকম মিস-ইনফরমেশন কতগুলোই আর রিপোর্ট করে রিমুভ করা যায়?

মুসলিম বিদ্বেষ যা ছড়ানোর তা ছড়িয়ে গিয়েছে ভারতে। এর প্রভাব নিশ্চয়ই ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং ভারতে মুসলিম মাইনোরিটি-র উপর পড়বে। এসবের জন্য মূলত দায়ী (১) বাংলাদেশের কিছু সন্ত্রাস যারা মুসলমান ঘরে জন্ম নিয়েছে ঠিকই কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষা নেয় নি।, (২) ভারতীয় গণমাধ্যম যাদের শুধু নিউজ বিক্রি করা দিয়ে কথা এবং (৩) বাংলাদেশি এবং ভারতীয় সাধারণ নাগরিক যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় সঠিক ব্যবহার এখনও শিখতে পারে নি।

ইন্ডিয়ানদের তেমন দোষ দিয়ে লাভও নেই। ওরাও বাংলাদেশিদের মতো অতি-আবেগী। ধর্ম নিয়ে কথা উঠলেই কারো বাপ-মা উদ্ধার বাকি থাকে না। তথ্য ভেরিফাই করার আগেই ঘৃণা ছড়িয়ে যায়। এখন ভারতে আমাদের ইস্যু নিয়ে কি অবস্থা জানি না। গতকাল সারাদিন এক্সে বাংলাদেশ নিয়ে যা দেখেছি, মুসলমানদের নিয়ে যত খারাপ কথা শুনেছি, এর পরে আর আবার সেগুলো ঘাটাঘাটি করার মানসিক শক্তি নাই।

তিনটা পয়েন্ট বলে শেষ করতে চাই।

(১) এই সিচুয়েশনে কারফিউ বা জরুরি অবস্থা জারি না করা ছিল জাতিগতভাবে আমাদের সবচেয়ে বড় ভূল।

(২) সন্ত্রাসীদের এভাবে ধর্মের সাথে লিংক করার মনোভাবটা আমাদের অতিসত্বর ত্যাগ করতে হবে।

(৩) যেকোনো তথ্য শেয়ার করার আগে একটু ভেরিফাই করে নিতে হবে। চেক করতে হবে যে ইনফরমেশনটা কোনো রিলায়েবল সোর্স থেকে পাওয়া কিনা। এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে এটা তেমন কঠিন কিছু না। আপনি যদি এতটুকুও না পারেন, তবে প্রতিজ্ঞা করেন যে আজ থেকে ভেরিফাইড সংবাদ মাধ্যমে ছাড়া কোনো র‍্যান্ডম পেজ বা প্রোফাইলের কোনো কিছু শেয়ার করবো না। এতে করে গুজব ছড়ানো সম্পূর্ণ বন্ধ না হলেও, ৯৫ শতাংশ কমে যাবে।

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%9c%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ad%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%b9%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%87%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%a4-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97/feed/ 0 8948
সরকারি কাজে এত জটিলতা কেন? — বিআরটিএ-এর অভিজ্ঞতা https://rifatahmed.com/%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%a4-%e0%a6%9c%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%8f-%e0%a6%8f%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%a4%e0%a6%be/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%a4-%e0%a6%9c%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%8f-%e0%a6%8f%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%a4%e0%a6%be/#respond Wed, 20 Mar 2024 11:45:31 +0000 https://rifatahmed.com/?p=8427 বাংলাদেশে সরকারী কাজের গ্রাহক পর্যায়ে যেসব জটিলতা আছে তা দূর করার সক্ষমতা এ দেশের আছে।
তাহলে প্রশ্ন করতে পারেন, সরকারি কাজে এত জটিলতা কেন? আমাদের দেশে কি মেধার এতই অভাব?
না, আমাদের দেশে মেধা এবং মেধাবীর কোনো সংকট নেই। সরকারি দপ্তরগুলো চাইলে কাল থেকেই সকল কাজ অনলাইনের মাধ্যমে কোনো প্রকার জটিলতা ছাড়াই সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করতে পারবে। এরকম মেধা এবং রিসোর্স এদেশের আছে।
তবে সমস্যাটা হলো — দিনশেষে টাকার কাছে গিয়ে সবাই হেরে যায়; মেধাবীরাও।

আজ একটা কাজে মিরপুর বিআরটিএ-তে গিয়েছিলাম। বাইরের একটা কম্পিউটারে দোকানে বসে কিছু কাজ করিয়ে নিচ্ছিলাম। এমন সময় একজন গ্রাহক এসে দোকানিকে জিজ্ঞেস করলো “ভাই, এপয়েন্টমেন্টর জন্য ঐটা (কোনো একটা ছবি কিংবা কাগজ বুঝাচ্ছিলো) কী অনলাইনে জমা দেয়া লাগবে?”
লোকটি দোকানির পরিচিত ছিল। উনি গাড়ির ফিটনেস অথবা লাইসেন্সের পরীক্ষার অ্যাপয়েন্টমেন্ট এর কথা বলতেছিলো, সেটা বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু কোন ডকুমেন্টের কথা বলছিল সেটা খেয়াল করি নাই।
যাই হোক, প্রশ্নের প্রত্যুত্তরে দোকানি বলে উঠলো, “দেয়া লাগবে মানে? মাসে মাসে টাকা দেই এইটা চালু রাখার জন্য। এইটা বন্ধ কইরা দিলে তো বিআরটিএ বন্ধ কইরা দিমু। যেইদিন এইটা বন্ধ করে দিবো সেইদিন মিরপুর বিআরটিএ-র গেটে তালা মাইরা দিমু।”
অর্থাৎ ওই এলাকা বা দেশ জুড়ে যেসব দোকান বা লোক বিআরটিএ-এর কাজ গুলো করে তারা সবাই মিলে মাসে মাসে টাকা দিয়ে সিস্টেমটাকে অনর্থক জটিল করে রাখতেছে। এতে টাকা পাচ্ছে দপ্তরগুলোর সরকারি কর্মকর্তারা, লাভবান হচ্ছে দালাল-দোকানগুলো আর বিনা প্রয়োজনে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে সমগ্র দেশের মানুষ।

এর আরেকটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো, ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সময় মেডিকেল রিপোর্ট।
এই রিপোর্টটা দুনিয়ার কোনো কাজে আসে না বা কেউ চেক করে না। তবে লাইসেন্স বানাতে হলে সেটা লাগবেই। এটা আপলোড না হলে লাইসেন্সের আবেদন করা যাবে না।
এই অপ্রয়োজনীয় কাগজটা না লাগলে দেশের শতভাগ মানুষ নিজের ফোন থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিজে নিজে বানাতে পারবে। কিন্তু এই একটা অপ্রয়োজনীয় কাগজের জন্য সবাইকে এই দোকানগুলোর দারস্থ হতে হয়।

এমন না যে দোকানিরা একটা একচ্যুয়াল মেডিকেল রিপোর্ট বানিয়ে দিচ্ছে যা দ্বারা বিআরটিএ-এর কর্মকর্তা প্রার্থীর শারীরিক সক্ষমতা সম্পর্কে নিশ্চিত হচ্ছে। না এমন কিছুই না। তারা সাইন-সিল সহ বানানো একটা মেডিকেল রিপোর্টে শুধু ছবিটা বসিয়ে দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছে। নামটাও বসাচ্ছে না ফর্মে কারন তারাও জানে এটা আপলোড করার পর এর কোনো কাজ নাই। কেউ ওভাবে যাচাই বাছাই করবে না।
আমার মনে হয় না সেই রিপোর্টে আমার ছবির বদলে রাস্তার একটা কুকুরের ছবি বসিয়ে আপলোড করলেও সেটা ধরা পড়বে। দোকানিদের ভাষ্যমতে এর কাজ আপলোড হওয়া পর্যন্তই।
তবে এই একটা রিপোর্টে দিয়েই এই দালালগুলো জিম্মি করে রাখতেছে পুরো দেশটাকে আর টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখতেছে পুরো বিআরটিএ-এর।

আর সেই বিআরটিএ-এর কর্মকর্তাদের ব্যক্তিত্বও বা কি রকম?
এত পড়ালেখা করে ৭ম, ৮ম, ৯ম গ্রেডের পদে অধীনস্থ থেকেও এরকম শিক্ষা-জ্ঞানহীন দালালদের সামনে শুধুমাত্র টাকার লোভে জি হুজুরি করেছে তারা। কি লাভ এই শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পদমর্যাদার যদি দালালরাই আপনার অফিস খোলা থাকবে না বন্ধ থাকবে সেটা নির্ধারণ করে দেয়? কেমন নীতি নির্ধারক আপনি যদি আপনার দপ্তরের নীতি দালালদের কথায় নির্ধারিত হয়?
এরকম ব্যক্তিত্বহীন কর্মজীবনের চেয়ে রিক্সা চালিয়ে খাওয়াও অধিক সম্মানের বলে আমি মনে করি।

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%a4-%e0%a6%9c%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%8f-%e0%a6%8f%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%a4%e0%a6%be/feed/ 0 8427
Asad Noor must be brought to justice for his disgusting remarks and his unapologetic attitude toward believers https://rifatahmed.com/asad-noor-must-be-brought-to-justice-for-his-disgusting-remarks-and-his-unapologetic-attitude-toward-believers/ https://rifatahmed.com/asad-noor-must-be-brought-to-justice-for-his-disgusting-remarks-and-his-unapologetic-attitude-toward-believers/#respond Mon, 07 Aug 2023 14:56:51 +0000 https://rifatahmed.com/?p=7893 As long as you limit your criticism to the asinine remarks made by pretentious and ignorant religious speakers, you are appreciated and, more or less, respected by the scholars of the faith and the masses for exposing their fallacies. But when you drag the prophet and the religion down in your ignorant and ill-intended rant with your pseudo-knowledge of the scriptures or the faith itself, you’ve just crossed the line and must prepare to face the repercussions.

Apology is not enough!

Asad Noor must be brought to justice for his disgusting remarks and his unapologetic attitude toward believers.

 

 

Post by @rifat5670
View on Threads

 

https://www.tumblr.com/rifat5670/725008975557541888/asad-noor-must-be-brought-to-justice-for-his

]]> https://rifatahmed.com/asad-noor-must-be-brought-to-justice-for-his-disgusting-remarks-and-his-unapologetic-attitude-toward-believers/feed/ 0 7893 মুম্বাই এয়ারপোর্টে ২৩ ঘন্টার লেওভার https://rifatahmed.com/%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%8f%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%aa%e0%a7%8b%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%87-%e0%a7%a8%e0%a7%a9-%e0%a6%98%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%93%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%8f%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%aa%e0%a7%8b%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%87-%e0%a7%a8%e0%a7%a9-%e0%a6%98%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%93%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0/#respond Mon, 17 Jul 2023 03:30:37 +0000 https://rifatahmed.com/?p=7794 মুম্বাই এয়ারপোর্টে ২৩ ঘন্টার লেওভার ছিল। জুহু বিচ, গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া, শাহরুখ খানের বাড়ি, মুম্বাইয়ের সমুদ্রতট — সব ঘোরা শেষ। কোনো কাজ নেই হাতে তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ইমিগ্রেশন পার করে এয়ারপোর্টের ডিউটি ফ্রি শপ গুলোর সামনে পায়চারী করতেছিলাম।

হঠাৎ দেখলাম আমার বয়সী একজন ভদ্রলোক দূর থেকে আমাকে “ভাই ছাহাব” বলে ডাক দিলেন। কাছে গিয়ে উনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে বুঝে গেলাম বেচারা এয়ারপোর্টের পথ ঘাট কিছু চিনতেছে না।
ভাঙা ভাঙা হিন্দিতে অনেক কষ্ট করে কোন পথে যাবে খুঁজে পাচ্ছে না এই কথাটুকুই বোঝাতে পারলেন।

সদ্য তামিল নাড়ু প্রদেশ থেকে আসলাম। চেন্নাই শহরের লোকজন রোদে পোড়া মাটির মতোই কালো। ওখানে লোকালরা হিন্দি ভালো বুঝে না। হিন্দির চেয়ে তারা বরং ইংরেজি ভালো বলতে পারে।
গায়ের বর্ন আর হিন্দি বলার ধরন দেখে একজন খাটি রেসিস্টের মতো উনাকে তামিল বলেই ধরে নিলাম। উনাকে দেখে উনি ইংরেজি পারবেন বলেও মনে হচ্ছিল না। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও হিন্দিতে কথা বার্তা শুরু হলো।

অনেক কষ্ট করে উনি ভাঙা ভাঙা হিন্দিতে বোঝালেন যে উনার বোর্ডিং পাসে গেট নাম্বার দেয়া নাই। এখন তিনি ইমিগ্রেশনও পার করে ফেলেছেন। তাই কাউন্টারে ফিরে গিয়ে গেট নম্বর জেনে আসাও সম্ভব নয়।

একজন ফ্রিকুয়েন্ট ট্রাভেলারের ভান ধরে আমিও হিন্দিতে বেশ কড়া করে জিজ্ঞেস করলাম এত কেয়ারলেস কিভাবে হলেন তিনি। তার তো সিকিউরিটি চেকে ঢোকার আগেই গেটের নাম্বার জিজ্ঞেস করে আসা উচিত ছিল। মুম্বাই এয়ারপোর্ট এমনিতেই বিশাল। টার্মিনাল ১ থেকে টার্মিনাল ২ এ হেঁটে যেতে প্রায় ৩৫ মিনিট লাগে। শুধু এই টার্মিনাল ২-এই গেট আছে ৮০ পর্যন্ত। কয়টা গেটে আপনি এভাবে ঘুরে ঘুরে জিজ্ঞেস করবেন? এয়ারলাইন্সের কোনো স্টাফকে খুঁজে না পেলে ফ্লাইট তো মিস হয়ে যাবে। এসব কথা হিন্দিতেই বলছিলাম উনাকে।

তার যে বুঝতে ও বলতে কষ্ট হচ্ছিল সেটাও দেখা যাচ্ছিল চোখে মুখে। ইংরেজি উনি বুঝবেন না সেটাও আন্দাজ করতে পারছিলাম।

ভাঙা ভাঙা হিন্দিতে দুইজনের এই কথা বার্তা অনেকক্ষণ চললো। তারপর উনার কাছে উনার বোর্ডিং পাস দেখতে চাইলাম। সেখান থেকে পিএনআর দিয়ে অনলাইনে আইটিনেনারি চেক করে গেট নাম্বার খুঁজবো বলে। না পেলে অন্তত ওখান থেকে এয়ারলাইন্সের নাম্বার নিয়ে ফোন করে খোঁজ নিবো সে আশায় উনার বোর্ডিং পাস নিলাম।

বোর্ডিং হাতে নিয়ে দেখি ভদ্রলোক আমার ফ্লাইটেই ঢাকা যাচ্ছেন। জিজ্ঞেস করলাম, “ভাই, আপনি কী বাংলাদেশি?”
ভদ্রলোক: “দূর মিয়া, ভয় লাগাই দিছিলেন। আমি তো মনে করছিলাম কি না কি করে ফেলছি, আজকে মনে হয় দেশেই যাইতে পারুম না।”

দুজনই হাসতে হাসতে শেষ।

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%8f%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%aa%e0%a7%8b%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%87-%e0%a7%a8%e0%a7%a9-%e0%a6%98%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%93%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%b0/feed/ 0 7794
বসবাসের অযোগ্য নগরীতে রূপ নিচ্ছে চট্টগ্রাম https://rifatahmed.com/%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a7%82%e0%a6%aa-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a7%82%e0%a6%aa-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae/#respond Tue, 25 Apr 2023 13:37:46 +0000 https://rifatahmed.com/?p=7416 চট্টগ্রামের যে বিল্ডিংটাতে থাকি তার সামনে উঠানের মতো একটা জায়গা আছে। শহরের মধ্যে বিল্ডিংয়ের নিচে এরকম গাছপালা ভর্তি খালি জায়াগা পাওয়া একরকম স্বপ্নের মতোই।
গরমের দিনে ক্যাম্পাস থেকে আসার সময় মেইন গেট দিয়ে ঢুকলেই গাছগুলোর জন্য একটা প্রশান্তির ঠান্ডা অনুভত হতো। শীতের দিনে উঠানের এই খালি জায়গাতেই ব্যাডমিন্টন খেলার সময় এই গাছেই বাল্বগুলো লাগানো হতো।

অনেককেই এই বাসাটার উদাহরণ দিতাম। কিছুদিন আগেও যখন হিটওয়েভে অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম। সামনে যাকে পাইছি তাকেই বলছি এই বাসাটার মতো বিল্ডিংয়ের আসেপাশে গাছ লাগানোর কথা। ঈদের ছুটিতে বন্ধু যখন বাড়িতে যাচ্ছে, তখনও মনে করিয়ে দিলাম এই ফাঁকে কিছু গাছ লাগিয়ে আসতে।

আজ সকালে যখন বাসা থেকে বের হওয়ার সময় রোদ সরাসরি চেহারায় এসে পড়লো, তখনই টের পেলাম যে কিছু একটা মিসিং। উপরে তাকিয়ে দেখলাম কয়েকটা গাছের ডাল কেটে শুধু কান্ডগুলো বৈদ্যুতিক খুটির মতো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। বাইরে থেকে বাসায় ফিরতে ফিরতে সে কাষ্ঠল খুঁটি গুলোও নামানো শুরু হয়ে গেছে দেখলাম।

চট্টগ্রামের সি আর বি-ও নাকি উপরে ফেলা হবে। কেটে ফেলা হবে শিরিষ তলার সেই বটবৃক্ষ। কিছুদিন আগেও এর বিরুদ্ধে অনেক আন্দোলন হয়েছে। লাভ হয়েছে কিনা জানি না।

জলবায়ুর উষ্ণতা কমানোর বদলে শহরে টুকটাক গাছ যা ছিল তাও কেটে ফেলা হচ্ছে কোনো না কোনো অজুহাতে। চোখের সামনে সুন্দর একটা শহরকে এভাবে ঢাকার মতো বসবাসের অযোগ্য হতে দেখে অবাক না হয়ে পারি না।

 

 

 

 

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Rifat Ahmed (@rifat5670)

 

 

 

 

https://www.tumblr.com/rifat5670/715583707034107904/%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%B8-%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%AF-%E0%A6%97-%E0%A6%AF-%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%B0-%E0%A6%A4-%E0%A6%B0-%E0%A6%AA-%E0%A6%A8-%E0%A6%9A-%E0%A6%9B-%E0%A6%9A%E0%A6%9F-%E0%A6%9F%E0%A6%97-%E0%A6%B0-%E0%A6%AE-rifat

 

 

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%af%e0%a7%8b%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a7%82%e0%a6%aa-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%9a%e0%a7%8d%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae/feed/ 0 7416
আমিও চাই আর্জেন্টিনা এবারের বিশ্বকাপ জিতুক https://rifatahmed.com/%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%93-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%aa-%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%95/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%93-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%aa-%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%95/#respond Wed, 14 Dec 2022 06:40:19 +0000 https://rifatahmed.com/?p=5270 সকালের নাস্তা আনার জন্য বাইরে বের হচ্ছিলাম।

বাসা থেকে বের হওয়ার পথে আমাদের বিল্ডিংয়ের সামনে একটা উঠানের মতো জায়গা আছে। বিল্ডিংয়ের বারান্দাগুলো থেকে ঐ জায়গাটা স্পষ্ট দেখা যায়।

আজ ঐ জায়গা দিয়ে যাবার সময় হঠাৎ উপর থেকে কে যেন “এই ব্রাজিল!” বলে ডাক দিলো। আমি বিস্ময়ের-সহিত ঘাড় ঘুরিয়ে উপরে তাকিয়ে দেখি আমাদের বাড়িওয়ালী আন্টি উপরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে হাসতেছে।

আমরা ফ্ল্যাটের অনেকেই এই বিশ্বকাপে রাত-বিরাতে ব্রাজিলের ম্যাচ দেখতে চট্টগ্রামের প্যারেড গ্রাউন্ডে চলে যেতাম, তাই আন্টি যাওয়া আসার সময় দেখতো আমাদের। একদিন জিজ্ঞেসও করে ফেলছে আমরা কে কোন দল সাপোর্ট করি। তানভীর আর আমিই শুধু ব্রাজিলের সমর্থক ছিলাম এই গ্রুপে।

আন্টি আবার কট্টর আর্জেন্টিনার সমর্থক। গতকাল রাতে আর্জেন্টিনার এরকম অসাধারণ জয়ের পর আন্টি সুযোগ পেয়ে উপর থেকেই জিজ্ঞেস করে বসলো “ব্রাজিলের কি খবর?”

আমি হাসিমুখে বলে চলে এলাম, “আন্টি, এবার আপনারা নেন। আগামীবার আমরা নিয়ে নিবো নে।” এ কথা বলে চলে এলাম ওখান থেকে।

 

রাস্তায় বেরিয়ে একটা জিনিস উপলব্ধি করলাম। ব্রাজিলের সমর্থক হিসেবে আমাদেরও উচিত ফাইনালে আর্জেন্টিনার সাপোর্ট করা।

আমার এই উপলব্ধির পিছনে তিনটি কারন রয়েছে।

 

প্রথমত, মেসির অর্জনের খাতায় একটা বিশ্বকাপ লেখা থাকুক এটা সমগ্র বিশ্ববাসী-ই চায়।

কেনো যেন এ যুগের লেজেন্ডদের কপালে জাতীয় দলের জন্য কোনো বিশেষ অর্জন নেই। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রিশ্চিয়ানোর রোনালদোর সাথে যা হলো তা খুবই লজ্জাজনক। এ রকম একজন প্লেয়ারকে এত গুরত্বপূর্ণ ম্যাচে বেঞ্চে বসিয়ে রেখে এভাবে বিশ্বকাপের স্বপ্ন ভঙ্গ করে দিবে তা কখনোই কেউ অনুমান করতে পারে নি।

ক্রিকেটের সাকিব আল হাসানের কপালটাও মনে হয় এমনই। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হওয়ার সত্ত্বেও কপালে বিশ্বকাপ জুটবে বলে মনে হয় না।

তাই শুধু মেসির জন্য হলেও আর্জেন্টিনা এবার বিশ্বকাপ জিতুক এটা চাই।

 

দ্বিতীয়ত, আর্জেন্টিনার সাপোর্টারদের মুখের দিকে তাকিয়ে এবারের শিরোপা তাদের হাতে দেখতে চাই। আর্জেন্টিনার জয়ের পর এই বয়সে আন্টিকে যেই খুশি দেখলাম, ব্রাজিলের সমর্থক হয়ে আমি দুই একটা টিটকারি শুনলেও এই হাসি উনার মুখে অটল থাকুক সেটাই চাই।

তাছাড়া, বাংলাদেশে কত-শত যুবকের বিয়ে আটকিয়ে আছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতাকে উপলক্ষ্য করে, এই সুবাদে তাদেরও বিয়ে হয়ে যাবে।

আর একটা আস্ত জেনারেশন আছে যারা তাদের জীবদ্দশায় আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিততে দেখেনি। আর্জেন্টিনার শিরোপা জিতলে তাদের আফসোস টাও মিটে যাবে।

 

সবশেষ, এই বার আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতলে ব্রাজিলের শিরোপার অর্ধেকে আসবে।

এতদিন ৫টা শিরোপা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পঞ্চম আসমানের উপর উঠে বসে আছি। বোর হয়ে যাচ্ছি। চিন্তা করতেছি ব্রাজিলের টিমকে বলবো আগামী ৫০ বছর বিশ্বকাপ না খেলতে। ছোটোদেরকেও জেতার সুযোগ দেয়া উচিত। আর্জেন্টিনা যখন ৫ টা নিয়ে ফেলবে তখন না হয় আবার কম্পিটিশনে নামবো। আপাতত না হয় উদার হয়ে বাকিদের জিততে দিয়ে আমাদের কাছাকাছি আসার সুযোগ করে দেই।

 

 

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%93-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%aa-%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%95/feed/ 0 5270
The Den — Stomping ground to Gregory’s most exclusive club https://rifatahmed.com/the-den-stomping-ground-to-gregorys-most-exclusive-club/ https://rifatahmed.com/the-den-stomping-ground-to-gregorys-most-exclusive-club/#respond Fri, 09 Dec 2022 16:00:40 +0000 https://rifatahmed.com/?p=5251

My school just turned 140, and I was asked to write a piece reminiscing the wonderful decade I spent at that fine institution.
Here it is in “Lauding The Legacy”, the commemorating magazine for the 140th anniversary of St. Gregory’s High School & College.

 

Saint Gregory’s is home to many prestigious clubs with remarkable achievements. Science Club, Debating Club, Quiz Club, Cultural Club, Basketball Team, Handball Team—these are all extremely accomplished groups in their own fields with outstanding achievements in inter-school and national events. I was lucky enough to be a part of some of these talented bunch from time to time. But there is one specific group that holds a special place in my memories when I recall the days in my alma mater.

I’m talking about perhaps Gregory’s most exclusive club, the Gregorian Scout troop.

There is a good reason why I called it exclusive.

When I first joined Gregorian Scouts as a young Cub. I had just been promoted to class two. And at that year’s annual camp, there were about 30 of us from my class alone. But as we progressed to class three, the count reduced to 20 and gradually kept decreasing. By the time I was in class 10, there were only two of us from my batch.

It wasn’t a surprise to us because the batches before me had 2-3 scouts from each as well. As far as I know, this has been a norm even after I graduated from there.

The reason for quitting the troop is obvious. Unlike other clubs in school, Gregorian Scouts demanded more from its members. While the science club, debating club, and other groups will be mostly busy before a big annual event, we were engaged throughout the year with school events and on-campus, outdoor, and overseas
camps.

Besides, we had a compulsory troop meeting every Tuesday after class. And we were also responsible for the guest’s guard of honor and holding the disciplined line at any school event.

And when we went to these camps, we would live in tents that we put up. We had to build our own shelves to store our bags, shoes, and clothes. We even had to cook for ourselves. Basically, we would do everything our mothers used to do for us, but in a tent in the middle of a Shalbon or a Char or at an empty field.

Needless to say, not everyone was cut out to handle the pressure, and eventually, people quit. But the ones who
plowed through the rough camp days, know how much fun we used to have during the late nights on the campsite.

Eventually, this small group of people had made each other their second family, and to us, our home was the
Scout Den.

When I started as a cub in 2005, the Den used to be in the old building. But later, it was moved behind the book-and-note store in the new main building. The sports team had their office and storage right beside our Den, and the school equipment storage was on the opposite side of the corridor. But we were the main occupants of that part of the building, and no one has a fonder memory of that place than us.

As a Cub Scout, I had the privilege to enter the Scout’s Den a few times. But it was explicitly assigned to the Boy Scouts. So, as soon as I started the day shift in class five, I was excited to join the Boys in Blue-Ash.

Up until then, scouting was all fun and games to me. We didn’t have to live in tents, didn’t have to cook for ourselves, didn’t have to make gadgets in the open field to store our baggage and clothes. We were just hanging around with Bimalendu Sarker sir to play fun games and prepare drama to present at the annual campfire night.

Even though I had been to several camps by then, it wasn’t until I joined the Boy Scouts that I realized what it
actually meant to be a Scout. The chain of command, the late-night events, the outdoor camp stays, the after-
school meetings, the school event management, these were all new to me, and I couldn’t have been more excited to embark on that new journey. My first day in the Den as an official Boy Scout was right before the sports day function of 2008.

We went inside the Den and stood there while the seniors explained how the event literally depended on our shoulders. From helping with decoration to holding the line outside the field and assisting teachers in running the games, we were everywhere.

As a newbie, I was on the line duty. But my eyes were on the drums. I wanted to play the marching symphony as athletes sprinted across the field or slow-drum while students tried to throw the sphere. Unfortunately, I was yet
to learn the drums. So, I made do with the line duty for that year. But I started to secretly and silently practice
drumming that Den.

After any event, we used to form a line and go to the canteen for snacks before returning to the Den for a formal briefing and, more importantly, an informal hangout.

Post-event, the senior-junior line is usually blurred. Everyone joked around with everyone, discussed their day, and overall had a wonderful time in that quaint Den, which was somehow spacious enough to accommodate all our equipment, drums, and us. In my early days as a boy scout, I saw several regime changes in that Den. Reza bhai, Gerald bhai, Jitu bhai, Pulock bhai, Manik bhai, Tarek bhai, Shakil bhai, Promi bhai, Mayeem bhai, Saif bhai, Sukesh bhai, Rabby bhai they all held the Den at one point in time and then passed on the keys to the next batch.

I saw Pulock bhai and Manik bhai groom Promi bhai in the den to take on the mantle the following year and adore Saif bhai, Sukesh bhai as the future leaders. I saw the same thing from Promi bhai for Saif bhai and Sukesh bhai and his affection towards Rabby bhai, Ratul bhai, and Navid bhai.

Saif bhai, Sukesh bhai also prepared Rabby bhai when the time to pass up the responsibilities came. This was an ineluctable circle, and we knew it all too well.

Even though the responsibilities were formally handed over in a troop meeting with Shakawat Sir present, the actual swap of duties, the sweet and sour stories of one’s regime, the disappointment of leaving the second family, and the excitement of taking up the new role for the next batch-all happened in that Den.

Besides being our official stamping ground, the Den was also an informal meeting place for everyone in the circle. When we entered the school, we used to take the staircase beside the Den, hoping to meet a fellow Scout and have a chat before class. During tiffin break, when everyone rushed to the field or the canteen, we met in the
Den and hung out to discuss what we would do in the next camp. In that Den, I grew close to all the seniors that came before me.

The Den was also where I met the incredibly talented juniors who later went on to pursue the Presidents’ Scouts award and more. Tawfiq, Sakib, Omeo, Alauddin, Ratul, Rafi, Akib, Dipto-they were all very close to me, and I grew fond of them in that very Den. My heart fills with pride when I talk about them.

It was also where I used to practice lashing, knots, first aid, pioneering, and compete with my comrades Samio, Rahat, Tanvir, and many more who had been part of this faction. Our circle was small but very close.

In my last days in school, and in the Scout troop, I had been in the guard of honor crew, played drums like I wanted, excelled in the art of knots, lashing, and pioneering, and led the boys to excellent results in camp competitions. We had been to the farthest corner of Bangladesh as well as attended international camps overseas. It was truly an experience of a lifetime, which was only aided by the wonderful troop I had accompanying me,
and it all originated in that Den.

When I think of my days in school, this Den comes to mind in vibrant colors. I consider myself lucky not only because I was a part of this elite and exclusive crew, but also because I had the experience of a lifetime in both our school and outdoors. I grew closer to my school because of these boys and the responsibilities that came with the title.

While many saw school as a cell to prepare for the exam and looked for any excuse to miss a day, I woke up every morning excited to go to my alma mater because of this group.

Due to my affiliation with Gregorian Scouts, I experienced our school like anyone else. I knew how it looked in the morning. I knew how many guard dogs were there at night. I knew where Alam bhai, Nazmul bhai, Maidul bhai stayed. I knew what Brother Robi did after school hours. I knew what was on the 5th floor.

I also had a unique insight on Shakawat Hossain sir. While everyone else saw Shakawat sir as a disciplinarian and feared him to death, we saw his humorous side when we spent the cold nights in tents sharing stories and anecdotes.

I miss my friends, the classroom, my teachers, and the staff for sure. But nothing will ever come close to the comradery and experiences we had in that Den as a troop.

Even though I continued scouting as a Sea Rover in college, it is my memories and experience with Gregorian
Scouts that I will cherish the most.

I look forward to revisiting the Scout Den when I come to visit my old stomping ground for its 140th anniversary: celebration this year.

 

  • The piece is about my days as a Gregorian Scout in the infamous Scout Den of St. Gregory's High School & College

 

Read “Lauding The Legacy” Magazine Online

 

 

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Rifat Ahmed (@rifat5670)

]]>
https://rifatahmed.com/the-den-stomping-ground-to-gregorys-most-exclusive-club/feed/ 0 5251
Protected: November 2022 — Traveling and spending time with friends & family https://rifatahmed.com/november-2022-traveling-and-spending-time-with-friends-family/ https://rifatahmed.com/november-2022-traveling-and-spending-time-with-friends-family/#respond Wed, 30 Nov 2022 17:59:34 +0000 https://rifatahmed.com/?p=5262

This content is password protected. To view it please enter your password below:

]]>
https://rifatahmed.com/november-2022-traveling-and-spending-time-with-friends-family/feed/ 0 5262 Mahamaya Lake Chattogram | মহামায়া লেক চট্টগ্রাম | Mohamaya Lake nonadult
চট্টগ্রামে রেফিউজির মতো নিজ বাসার সামনে অবস্থান https://rifatahmed.com/%e0%a6%9a%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%89%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%a4%e0%a7%8b-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%9c-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%a8/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%9a%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%89%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%a4%e0%a7%8b-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%9c-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%a8/#respond Fri, 18 Nov 2022 01:45:56 +0000 https://rifatahmed.com/?p=4799 বাস থেকে নামছি ভোর ৫ টায়। সাড়ে ৫ টার মধ্যে বাসার গেটের সামনে।

এই মুহূর্তে আমার জানামতে ফ্ল্যাটে সবাই নাই। তবে আগের রাতে যার কনফার্ম থাকার কথা ছিল তাঁকে বলে রাখছিলাম মেইন গেট টা ঘুমানোর আগে খুলে রাখতে। ভদ্রলোক খুলতে তো ভুলে গেছেই তার উপর ফোন বন্ধ করে ঘুমাইতেছে।

তার চেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো, এখন প্রায় আটটা বেজে গেছে কিন্তু পুরো বিল্ডিংয়ের একজনও ঘুম থেকে উঠে নাই।

প্রায় দু-আড়াই ঘণ্টা ধরে নিজ বাসার গেটে রেফিউজির মতো দাঁড়ায় আছি। পা ধরে গেছে, ফোনের চার্জ ও শেষ প্রায়। গতকাল বিকেল থেকে গাড়িতে গাড়িতে, তাই প্রকৃতিও ডাকা-ডাকি শুরু করে দিচ্ছে।
এদিকে রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসা করা মুরুব্বীর আমারে নিয়ে আফসোস করা শুরু করছে।

সব মিলিয়ে খুব ভালো দিনকাল যাইতেছে।

 

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%9a%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%89%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%a4%e0%a7%8b-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%9c-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%a8/feed/ 0 4799
Kashmir — A Piece of Heaven On Earth https://rifatahmed.com/kashmir-a-piece-of-heaven-on-earth/ https://rifatahmed.com/kashmir-a-piece-of-heaven-on-earth/#comments Thu, 10 Nov 2022 23:17:19 +0000 https://rifatahmed.com/?p=4752 My Jammu and Kashmir travel blog is published on Google Local Guides Connect under the title “Kashmir — A Piece of Heaven On Earth“.

You can read it on my Local Guides Connect page

 

Read it online @ Google Local Guides Connect

 

 

]]>
https://rifatahmed.com/kashmir-a-piece-of-heaven-on-earth/feed/ 1 4752
ব্লাড টুইস্ট — এবি পজিটিভ না বি পজিটিভ? https://rifatahmed.com/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a1-%e0%a6%9f%e0%a7%81%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%ad-%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%ad/ https://rifatahmed.com/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a1-%e0%a6%9f%e0%a7%81%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%ad-%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%ad/#respond Tue, 08 Nov 2022 07:24:04 +0000 https://rifatahmed.com/?p=4700 সকালে ঘুম থেকে উঠেই রক্ত দিতে বের হলাম। চট্টগ্রাম ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত নেয়ার সময় মেডিক্যাল এসিসট্যান্ট জিজ্ঞেস করলো আগে দিয়েছি কিনা।
কয়বার দিয়েছি জিজ্ঞেস করলেন।
বললাম ৫-৬ বার।
যেহেতু আগে কয়েকবার দিয়েছি তাই ভদ্রলোক টেস্ট করা ছাড়াই রক্ত নিয়ে নিলেন। রক্ত দেয়া শেষ। রেস্ট করছি।
এমন সময় ল্যাব থেকে এসে বললো আপনি কি কনফার্ম আপনার গ্রুপ?
— হ্যাঁ।
যাকে রক্ত দিয়েছেন তাকে জিজ্ঞেস করেন উনাদের রক্তের গ্রুপ কি? আপনার ব্লাড তো ম্যাচ করছে না।
সাথে সাথে দুইজনকে কল দিয়ে কনফার্ম হলাম যে হ্যাঁ AB+ রক্তই দিয়েছি।

আমার তো এদিকে মাথা নষ্ট। ছোটোবেলায় একটা প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে ল্যাব টেস্ট করিয়ে রেখেছিলো আব্বু। সেখানে AB+ এসেছিলো। এরপর কলেজ লাইফে প্রথম রক্ত দেয়া।
এর পরে সরকারি, প্রাইভেট, ব্লাড ব্যাংক, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন মিলিয়ে ৬ বার রক্ত দিয়ে ফেলেছি।
কিন্তু এখন শুনতেছি আমার রক্তের গ্রুপই নাকি AB+ না B+।
তাইলে আগের রোগীগুলো কিভাবে বেঁচে আছে।
আর এতবার রক্ত দেয়ার পরেও কিভাবে কোনো ল্যাব থেকে বা রোগীদের আত্মীয়দের থেকে জানলাম না যে আমার রক্ত রোগীর সাথে ম্যাচ করতেছে না।
তারা কি বিনা টেস্টেই রক্ত দিয়ে দিচ্ছিলো নাকি এক্সচেঞ্জ করে দিচ্ছিলো। ব্লাড ম্যাচ না করলে তো আমাকে জানাবে কেউ তাই না?

এদিকে শিপন পোলাটারেও বিপদ ফেলে দিলাম। ওর আত্মীয়ের জন্য এখন নতুন করে ডোনার খোঁজা লাগবে।
নিজেরে সেই লেভেলের ভোঁদাই মনে হইতেছে এখন।

 

আপডেট — ৮ নভেম্বর ২০২২ঃ কিছুটা ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করে যা বুঝতে পারলাম, তা হলো B+ এর ডোনার চাইলে AB+ কে ব্লাড দিতে পারে। সেজন্য হয়তো আগের রক্ত দেয়াতে কোনো সমস্যা হয় নি। আরো কিছু রিসোর্স থেকে জানলাম যে অনেকের রক্তের গ্রুপও চেঞ্জ হয় তবে সেটা খুব রেয়ার। আপাতত পুনরায় টেস্ট না করে কনফার্ম হতে পারছি না আমার সাথে কোনটা ঘটেছে। রেফারেন্সঃ https://www.lgw.org/blog/how-can-i-give-blood/

 

আপডেট — ৪ জানুয়ারি ২০২৩ঃ অবশেষে নতুন করে ব্লাড গ্রুপিং টেস্টের মাধ্যমে কনফার্ম হলাম যে আমার ব্লাড গ্রুপ সত্যিই B+, AB+ নয়।

 

 

]]>
https://rifatahmed.com/%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a1-%e0%a6%9f%e0%a7%81%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%8f%e0%a6%ac%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%ad-%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%ad/feed/ 0 4700